• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৯-৬-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:০২
  • ১২৯ বার দেখা হয়েছে

কাউনিয়ায় ঈদ আনন্দে তিস্তা ব্রিজ যেনো সৈকতের ছোয়া নেমেছে

কাউনিয়ায় ঈদ আনন্দে তিস্তা ব্রিজ যেনো সৈকতের ছোয়া নেমেছে

আসলাম খান, কাউনিয়া

ঈদ আনন্দে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কাউনিয়ার তিস্তা ব্রিজ এলাকা। তিস্তা ব্রিজের দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দর্শনার্থীদের ঢল । ঈদের দিনে দুপুরে পর থেকে তিস্তা ব্রিজের বিনোদন পিপাসু মানুষের উপচে পড়া ভিড় ল্যণীয়। ঈদের ছুটির তিনদিন চলবে আনন্দ উৎসব। 

এক সপ্তাহ ধরে রিমঝিম বৃষ্টি ও তাপদাহের পর স্বস্তি খুঁজতে সোমবার ঈদের প্রথম দিন দর্শনার্থীরা দূর-দূরান্ত থেকে আসে তিস্তা ব্রিজ। তিস্তা এলাকায় জমে উঠেছে বিভিন্ন দোকান পাট। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ উপলে তিস্তার বুকে স্পিডবোট ও লালনীল কাপড়ের ছাউনি লাগানো বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলছে। দ্রুত বেগে এপাশ থেকে ওপাশে ছুটে চলছেন পর্যটকরা। 

মাত্র ৫০ টাকায় নদীর ভ্রমনে ভাসছেন দর্শনার্থীরা। হৈ হুল্লোড়ে মেতে উঠছেন সবাই। বড় বড় ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে তিস্তা কূলে। ছিটকে আসা জলরাশির আনন্দে মেতে উঠছে সবাই।ঈদের উৎসবে রঙিন হয়ে উঠেছে ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের মন। আনন্দের মাত্রা বাড়াতে ক্যামেরা ও মোবাইলে ছবি তুলে স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো। জেলা ও উপজেলা শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিনোদনপ্রেমীরা ছুটে আসছে। 
সেখানে বসেছে গ্রামীণ মেলার হাট। নানা রকম পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। বিভিন্ন খেলনা, বাঁশি, বেলুন, মাটির গাড়ি ও খাবারের দোকান। নদীর বুকে ভাসমান বিলুপ্ত বেশ কিছু পাল তোলা নৌকা নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীরা জানায়, গত কয়েকদিনের দাহদাহে প্রাণ ছিল ওষ্ঠাগত। তাই ঈদ উপলে গ্রামে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রকৃতির হাওয়া পেতে তিস্তা ব্রিজে ঘুরতে এসেছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকে আসা সুজন ইসলাম ও রনি ইসলাম জানান, তিস্তা ব্রিজ নাম প্রতিবছর বন্যার সময় পত্রিকায় পড়েন, টিভিতে দেখেন। এবার ঈদের ছুটিতে সরাসরি দেখতে তাঁরা ছুটে এসেছেন। এখানে এসে বেশ ভালো লেগেছে তাঁদের। আগামী বছর এখানে আবার আসার ইচ্ছা আছে।

৩ সিকস্টি স্টান সট ভিডিও তৈরির করান শরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদের তিন দিন চলবে এই দর্শনার্থীদের ভীড়। আসা করি এই তিনদিনে ১০ হাজার টাকার ওপরে ইনকাম করতে পারবো। এর মধ্যে তিন থেকে চার হাজার টাকা ইনকাম হয়েছে। বাহারি খেলনা বিক্রি করে ভালো ব্যবসা হচ্ছে বলেও জানালেন খেলনা বিক্রেতা সুভাষ চন্দ্র রায়।

তিস্তা নদীর ধারে একেবারে গ্রাম্য পরিবেশে হলেও নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কোনো ঝুঁক্কি পোহাতে হচ্ছেনা দর্শনার্থীদের। ছোট ছোট দোকানে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায় নাস্তা-খাবারও। ব্রিজের বিশেষ অবকাঠামো, ব্লক আর পাথরে পিচিং করা নদীর পাড়, কাশফুল আর বনোজ গাছের বাগানগুলো ঘুরতে আসা মানুষগুলোর যেন সহজেই মন কাড়ে। মন চাইলে পাল তোলা নৌকাতেও দল বেঁধে ভ্রমণ করার সুযোগ মেলে তাদের। 

কাউনিয়া থানা দায়িত্বরত এসআই রতন বলেন, ঈদ উপলে অন্য বছরের তুলনায় তিস্তা এলাকায় এবার কম মানুষের সমাগাম ঘটেছে। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়