• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৮-৬-২০২৪, সময়ঃ দুপুর ১২:০৭
  • ১৬ বার দেখা হয়েছে

গাছের ধাক্কায় ইঞ্জিনের বাম্পার বিকল ৫ ঘন্টা রেলক্রসিংয়ে আটকে ছিল ট্রেন

গাছের ধাক্কায় ইঞ্জিনের বাম্পার বিকল ৫ ঘন্টা রেলক্রসিংয়ে আটকে ছিল ট্রেন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি  রেললাইনের উপর ঝড়ে হেলে থাকা গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনে উঠার পাদানী, হাতল ও বাম্পার বেঁকে যাওয়ায় রেলক্রসিংয়ে আটকে পড়ে ট্রেন। এতে রেললাইনে ও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সড়কের উভয় পাশে শতাধিক দূরপাল্লার বাসসহ সকল যানবাহন ৫ ঘন্টা আটকে থাকে। এসময় চরম ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার মানুষ।  ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু সড়কের উপর ১ নং রেল গুমটিতে। রবিবার দিবাগত রাত ৩ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত এই রেলক্রসিংয়ে ট্রেনটি আটকে থাকে। এতে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস সার্ভিস সহ শহরের অভ্যন্তরের যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পড়ে গ্যাস কাটার নিয়ে এসে ইঞ্জিনের বাম্পার কেটে ফেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।  জানা যায়, শনিবার রাতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রকেট মেইল ট্রেন রাত পৌনে ৩ টা নাগাদ পার্বতীপুর স্টেশনে পৌঁছে। সেখান থেকে ছেড়ে আসার পথে বেলাইচন্ডী এলাকায় গত রাতের ঝড়ে রেললাইনে হেলে পড়া একটা গাছের সাথে ধাক্কা লাগে ট্রেনের ইঞ্জিনের। এতে ইঞ্জিনের সামনের বাম্পার, ইঞ্জিনে উঠার পাদানী ও হাতল বেঁকে যায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাম্পার। এটি বেঁকে অনেকটা রেল লাইনের সাথে লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়।  এই অবস্থাতেই ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে আসে চালক। সৈয়দপুর শহরে ঢোকার প্রাক্কালে উল্লেখিত রেলওয়ে ক্রসিংয়ে এসে রেল লাইনের মাঝখানে রাস্তার কার্পেটিংয়ের সাথে আটকে যায় বেঁকে যাওয়া বাম্পার। তারপরও জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করলে উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। এমনকি পিছনেও যেতে পারছিলনা। বাধ্য হয়ে সেখানেই থামিয়ে দেয়া হয়। 
 রাত ৩ টা থেকে সকাল সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত এই অবস্থাতেই থাকে। পরে বেলা বাড়ার পর গ্যাস কাটার নিয়ে এসে ইঞ্জিনের বাম্পার কেটে ফেলা হয়। এতে ইঞ্জিনটি চলাচল উপযোগী হলে ট্রেন সৈয়দপুর স্টেশন অভিমুখে যাত্রা করে ও পরে চিলাহাটি চলে যায়। এই দীর্ঘ সময়ে বঙ্গবন্ধু সড়কের উভয় পাশে, বিমানবন্দর সড়কে, শহীদ তুলশীরাম সড়কে, শেরেবাংলা সড়কে, শহীদ ডা. জিকরুল হক ও শহীদ জহুরুল হক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  প্রত্যক্ষদর্শী ফ্রিল্যান্সার সংবাদ কর্মী ও কলামিস্ট আল ফারুক একাডেমির সহকারী শিক্ষক সাহাবাজ উদ্দিন সবুজ বলেন, ফজরের নামাজের পর প্রতিদিনের মত আজও সড়কে পায়চারী করাকালে দেখতে পাই যে, রেলক্রসিংয়ে ট্রেনটি আটকে আছে। ট্রেনের যাত্রীরা জানায় ইঞ্জিনের বাম্পার বিকল হয়ে পড়ার কারণে রাত ৩ টা থেকে এই দূরাবস্থা। তখন বিষয়টি ফেসবুকে লাইভ করি। যা বেশ ভাইরাল হয়েছে। রেলওয়ের লোকজন অনেক চেষ্টা করে অবশেষে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বাম্পারটা কেটে ফেলে রেহাই মেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়