• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২-৬-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:৪১

টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরছেন মোদি

টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরছেন মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক►

স্বাধীনতা লাভের পরে ১৭ বছর ধরে দেশ শাসন করেছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। তিনিই প্রথম টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার মোদিও গড়তে যাচ্ছেন একই রেকর্ড। সাতদফা ভোট পর্ব শেষে বুথফেরত জরিপে এমন ইঙ্গিতই মিলছে।

বুথফেরত জরিপে গতবারের চেয়েও বেশি আসন পাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। মমতার বাংলাতেও গেরুয়া ঝড় আসছে বলে ইঙ্গিত সমীক্ষার।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবার ভোটের ৩৫৩ থেকে ৩৮৩ আসন পেতে পারে। একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ১৫২ আসন থেকে ১৮২ আসন। ভারতের কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ২৭২ আসন। তাই ম্যাজিক সংখ্যা থেকেও বিজেপির আসন প্রাপ্তির সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি বলে আভাস দিচ্ছে একাধিক সমীক্ষা।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার, এবিপি আনন্দের যৌথ বুথ ফেরত মত বলছে, বিজেপি এবার এককভাবে ৩১৫ আসন পাবে। আর কংগ্রেস পাবে ৭৪টি আসন।

শনিবার (১ জুন) সাত দফার ভোট গ্রহণের শেষ দফা ভোট পর্ব শেষ হতেই এক এক করে দেশটির গণমাধ্যম গুলো বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করতে শুরু করে। আর সেখানে এমন আভাস পেয়ে কার্যত খুশি গেরুয়া শিবির। তবে এটাও সত্যি যে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৪০০ আসনের বেশি আসন পেয়ে বিজেপি সরকার গড়বে বলে যে দাবি করেছিলেন- সেই দাবি কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষার আভাস পুরোপুরে খারিজ করে দিয়েছে। 

দেশটির অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থার আভাস বলছে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানে বিজেপি তাদের অবস্থান ধরে রাখবে। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের কেরালাও বিজেপি এবার খাতা খুলতে পারে। একই সঙ্গে মমতার রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূলের চেয়ে বেশি আসন প্রাপ্তির সম্ভাবনাও দেখাচ্ছে সমীক্ষা।

দেশটির তিনটি বড় সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার, অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া, টুডেজ টানক্য-এর সমীক্ষার গড় হিসেব করলে মমতার রাজ্যে মোদির দল এবার ২৫টিরও বেশি আসন পেতে পারে। আর তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ১৫টি আসন। ৪২ আসনের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি গেলবার ১৮টি আসন, তৃণমূল ২২ টি আর কংগ্রেস ২টা আসন পেয়েছিল। সে হিসেবে তৃণমূল এবার ৭টি আসন হারাতে চলেছে।

তবে বুথ ফেরত সমীক্ষা আভাস মাত্র। প্রত্যেক সংস্থার পক্ষ থেকেই এটি দাবি করে বলা হয়, বহু ক্ষেত্রেই এই সমীক্ষার আভাসের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। আবার বহু ক্ষেত্রে শতভাগ মিলে গেছে। শেষ সিদ্ধান্ত ইভিএম বন্দি করেছেন দেশটির ৯৭ কোটি ভোটার। আর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে ৪ জুন।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়