Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৮-৭-২০২৪, সময়ঃ রাত ০৮:১১
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই) বিকেলে দলটির জেলা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গত ১৭ জুলাই বেলা আনুমানিক ১১ টা ৪৫ মিনিটে কথিত কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা ১নং রেলগেটে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করছিল। আমরা প্রতিদিনের ন্যায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা কার্যালয়ে আলাপ-আলোচনা করছিলাম। এ সময় কথিত আন্দোলনকারীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের দলীয় কার্যালয় অতর্কিত আক্রমণ করে। তারা রেল লাইনের পাথর বৃষ্টির মতো ছুঁড়ে মারতে থাকে। আমরা নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা অফিসের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে কার্যালয় চত্বরে রক্ষিত ১১টি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এমন অবস্থায় আমরা অফিসের বাইরে এলে আক্রমণকারীরা আমাদের নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা চালিয়ে নির্দয়ভাবে মারপিট করে।”

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, “এ অমানবিক আক্রমণে আমিসহ সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক মণ্ডল, সহ-সভাপতি শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম কোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতলুবর রহমান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোশারফ হোসেন দুলাল, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আলম সাকা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন ঝিলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবিব রাজীব, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রচারণা সম্পাদক তানজিমুল ইসলাম জামিল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম আবু, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম, মাসুদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আসিফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন মামুন ও সাবেক শহর ছাত্রলীগের নেতা কামাল হোসেন বাবুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আহত হন। আহতদের মধ্যে মেয়র মতলুবর রহমান ও কাউন্সিলর কামাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

সংবাদ সম্মেলনে আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, “আমাদের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের কোনো বিরোধ নেই। কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এই বর্বরতার তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা এবং এই ন্যাক্কারজনক, বর্বর ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

এ হামলার ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, “অনেককেই আমরা চিহ্নিত করেছি। ছবি, ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িত বাকিদের চিহ্নিত করে আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।” সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad