Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৬-৯-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১১:৪৪
  • ৪৮ বার দেখা হয়েছে

সাঘাটায় ভবনের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে ৪ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম

সাঘাটায় ভবনের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে ৪ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম

জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা►

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা সদর ১০ নং বোনারপাড়া, ৮ নং জুমারবাড়ী,৭ নং হলদিয়া ও ৬ নং ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নেই। পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় কোনো ইউনিয়নে গ্রাম-আদালতের বিচারব্যবস্থা-সহ পরিষদের যাবতীয় কর্যক্রম পরিচালনা করতে হয় পুরাতন জারাজীর্ণ ভবনে; আবার কোনো ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়িতে। 

ফলে একদিকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা নিতে আসা জনসাধারণকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ-এর পুরাতন ভবনটির ছাদে খোয়াসহ প্লাস্টার খসে মরিচাধরা রড বেরিয়ে পড়েছে। চারপাশের দেয়ালজুঁড়ে ধরেছে ছোট-বড় অসংখ্য ফাটল। ছাদ চুয়ে পানি পড়ে দরজা জানালার কাঠ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। মরিচাধরে দুর্বল হয়ে গেছে জানালার সমস্ত রড। গ্রাম-আদালতের জন্য পরিষদে কাঠের তৈরি বিচারিক এজলাসও অনেক আগেই ভেঙে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বাথরুম ও টয়লেটের দরজা ভেঙে গেছে, মেঝের প্লাস্টার উঠে মাটি বেড়িয়ে পড়েছে। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর কার্যক্রম।  একই চিত্র জুমারবাড়ি ও ঘড়দিহ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের। যে কোনো মুহূর্তে ভবন ধসেপড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিরুল আলম স্বপন-এর সাথে তার পরিষদের ভবনের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ভবনের অভাবে পুরাতন জরাজীর্ণ এবং ধসেপড়া ভবনের ভিতর পরিষদের কার্যক্রম চলছে। যে কোনো মুহুর্তে ভবনের ছাদ ধসেপড়ে বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন শঙ্কা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। পরিষদের জায়গা আছে ভবন নির্মাণের জন্য  সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি তেমন উদ্যোগ নেই বলেই পরিষদের ভবন নির্মাণ হচ্ছে না। জুমারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম জানান, পরিষদের জায়গা আছে আধুনিক পরিষদ ভবন নির্মাণের জন্য আবেদনও করা আছে । কিন্তু সরকারি তেমন উদ্যোগ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ ভবন হচ্ছে না। 

জানা যায়, ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের নামে ২৫ শতক জমি আধিগ্রহন করে ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সদইচ্ছার আভাবে ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নিমার্ণ হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনেই ঝঁকি নিয়ে চালাতে হচ্ছে পরিষদের কার্যক্রম । 

অপর দিকে যমুনা নদী বেষ্টিত হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন দীর্ঘদিন আগেই নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। কর্যক্রম পরিচালনা করা হয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে। বরাবরের মতো বর্তমানেও চেয়ারম্যানের বাড়িতে পরিষদের কর্যক্রম চলছে। এ ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান,পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় নিজের বাড়িইে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা  করতে হয়। ভবনের জায়গা অধিগ্রহনের জন্য বিগত সরকারের সময় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী বলেন, ওই চার ইউনিয়ন পরিষদের আধুনিক ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad