• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২-৭-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৫:১৮
  • ৩২ বার দেখা হয়েছে

রংপুর মেডিকেল কলেজের ডরমেটরি থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

রংপুর মেডিকেল কলেজের ডরমেটরি থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

রংপুর প্রতিনিধি

রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) আবাসিক ভবন থেকে আখতারুজ্জামান (৫২) নামে এক চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ (মঙ্গলবার, ২ জুলাই) সকালে হাসপাতালের শেখ রাসেল পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডরমেটরি ভবনের ষষ্ঠ তলার ৬-এফ কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

চিকিৎসক আখতারুজ্জামান নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার প্রতিভা নীলপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে । তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পিজি হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার। এছাড়াও তিনি রংপুর মেডিকেলে পোস্ট গ্রাজুয়েটের একজন শিক্ষার্থী এবং তিনদিন আগে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আসেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আজ সকালে ওই কক্ষের দরজার নিচ দিয়ে রক্ত বাহিরে বের হলে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মিলনুর রহমান মিলন পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙ্গে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। 

এ বিষয়ে নিহত আখতারুজ্জামানের স্ত্রী রংপুর নগরীর ধাপ শিমুলবাগ এলাকার কোহিনুর আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমার সঙ্গে তিন দিন আগে মুঠোফোনে আখতারুজ্জামানের কথা হয়েছে। তখন উনি গ্রামের বাড়ি নীলফামারীতে ছিলেন। উনি প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন। এরমধ্যে কবে উনি রংপুরে এসেছেন, সেটা আমি জানতাম না। আজ মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে এখন পর্যন্ত বলতে পারছি না কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় পিজি হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। রংপুর মেডিকেল কলেজের তিনি সাবেক শিক্ষার্থী। এখানে তিনি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করতে আটবার পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে পারেননি। তার নবম তম পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে উনি মানসিক ভাবে চিন্তিত ছিলেন। তিনি লিভার ও পায়ের ব্যাথাসহ কয়েকটি রোগেও ভুগছিলেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালি জোন) আরিফুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, ডা. আক্তারুজ্জামান পোস্ট গ্রাজুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলেন। সকালে ডরমেটরি থেকে জানানো হয়, আক্তারুজ্জামানের রুম থেকে গন্ধ আর রক্ত আসছে। পরে বিষয়টি আমরা পুলিশ ও জেলা প্রশাসককে জানাই। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দরজার তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করে কিছু বলা যাচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়