• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২-৭-২০২৪, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:৩০
  • ৫০ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধার কামারজানি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

গাইবান্ধার কামারজানি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা সেবা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

জানা গেছে, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় এসকেএস ফাউণ্ডেশনের বাস্তবায়িত মমতা প্রকল্পের মাধ্যমে দিনে ২৪ ঘণ্টা সপ্তাহে ৭দিন সেবাদান কার্যক্রম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অব্যবহারযোগ্য কামারজানি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র মেরামত করে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটি গর্ভবতী মায়েদের প্রসবপূর্ব সেবা, নিরাপদ প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবাসহ সাধারণ রোগের সেবা প্রদানের জন্য উপযুক্ত করা হয়েছে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোহাম্মদ তৈৗহিদুল আনোয়ার, ডা. আসিফ রহমান (এমওডিসি), নুরজাহান বেগম (ডিপিএইচএন) ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক খন্দকার জাহিদ সরওয়ার। কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এবং এসকেএস ফাউণ্ডেশনের মমতা প্রকল্পের কর্মকর্তা ফারজানা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে মমতা প্রকল্পের টেকনিক্যাল ম্যানেজার (ম্যাটারনাল হেলথ) ডা. আরমিনা খাতুন ও মমতা প্রকল্পের সমন্বয়কারী আলতাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এতে অংশ নেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা এলাকাবাসী, গর্ভবতী মা ও নবদম্পতিদের অত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে বিনা মূল্যে প্রসবপূর্ব, গর্ভকালীন, প্রসব পরবর্তী সেবা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাস। সেইসাথে বাড়িতে ডেলিভারি না করে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সেবা গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যু হার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সকলে প্রতি আহবান জনান তিনি।

উল্লেখ্য, মমতা প্রকল্পটি গাইবান্ধার ৪টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সমন্বিতভাবে ২০২১ সাল থেকে কাজ করছে। সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বাড়িতে ডেলিভারি শূণ্য পর্যায়ে নামিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মমতা প্রকল্পটি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়