• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১১-৬-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১১:৩৯

সুন্দরগঞ্জে খাদ্যগুদামে ধান দিতে নারাজ কৃষকেরা

সুন্দরগঞ্জে খাদ্যগুদামে ধান দিতে নারাজ কৃষকেরা

এ মান্নান আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ

সরকারি ভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে গত ৭ মে থেকে। যা চলবে আগামী ৩১ অক্টোম্বর পর্যন্ত। ইরি-বোর মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও গত ২৮দিনে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫৪ মেট্রিকটন এবং চাল প্রায় ১ হাজার মেট্রিকটন। 

অনলাইনের মাধ্যমে কৃষককের নামের তালিকা এন্ট্রিকরণ, লটারিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়া, ধানের আদ্রতা বজায়, বস্তা নির্ধারন, বিল নিয়ে জটিলতা ও পরিবহন ঝামেলার কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে নারাজ দাবি কৃষকদের। 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা এবং সুন্দরগঞ্জ দু’টি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ২ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন এবং চাল ২ হাজার ৭০ মেট্রিকটন। সরকারি ভাবে প্রতিকেজি ধান ৩২ টাকা এবং চাল ৪৫ টাকা দরে ক্রয় করা হবে। ধানের আদ্রতা বজায় রাখতে হবে ১৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে। উপজেলার একটি অটো রাইস মেল চাল দিবে ১ হাজার ৩৫০ মেট্রিকটন এবং ৪০টি হাসকিং চাতাল মালিক চাল দিবে ৭২০ মেট্রিকটন। 

শান্তিরাম গ্রামের কৃষক তারা মিয়ার ভাষ্য সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে অনেক ঝামেলা করতে হয়। সে কারনে ধান দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আজ থেকে ১০ বছর আগে এখনকার নিয়ম ছিল না। এখন অনলাইনের মাধ্যমে নাম এন্টি করতে হয়। তারপর লটারিতে নাম উঠলে প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে নিয়ম কানুন মেনে ধান দিতে হয়। এছাড়া বিল পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। এসব কারনে সাধারন কৃষক খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছে না। 

একই দাবি উল্লেখ করে রামজীবন ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, খোলা বাজারের চেয়ে খাদ্যগুদামে ধান দিলে কেজি প্রতি ৮টাকা বেশি পাওয়া যাবে। ওইসব ঝামেলা চেয়ে খোলা বাজারে ধান বিক্রি করা অনেক ভাল।

হাসকিং চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি শাহাদৎ হোসেন আনন্দ জানান উপজেলায় ১১৯টি হাসকিং চাতাল ছিল। ব্যবসার ধরন পরিবর্তন হওয়ায় ৭৯টি চাতাল ইতিমধ্যে কালো তালিকাভূক্ত হয়েছে। মাত্র ৪০টি হাসকিং চাতাল চালু রয়েছে। সেই ৪০টি চাতালের বিপরীতে চালের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ৭২০ মেট্রিকটন। অপরদিকে একটি অটো রাইস মিলের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ মেট্রিকটন।

ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মাহফুজুর রশিদের ভাষ্য, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে তাদের নিকট হতে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। নির্ধারিত আদ্রতা না থাকলে সে ধান নেয় হয় না। সঠিক কাগজপত্রের আলোকে কৃষকদের নিকট থেকে ধান নেয়া হচ্ছে। 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাবিবুর রহমান জানান, চেকের মাধ্যমে কৃষকদের ধানের বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। হাতে হাতে নগদ টাকা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কৃষকরা ব্যাংক হতে টাকা উত্তোন জটিল মনে করছেন। অনলাইন এন্টি, লটারি, আদ্রাতা বাজায় সরকারি নিয়ম। এর বাইরে কাজ করা সুযোগ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়