শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী►
বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক আন্দোলনে যৌথবাহিনির সাথে সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হওয়ায় এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সবগুলো কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।
আজ (বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর) উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার ২৪টি কারখানাই বন্ধ ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেপজার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান আশরাফুল ইসলাম।
গত শনিবার থেকে ২৩ দফা দাবিতে এভারগ্রীন কোম্পানির শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের মধ্যেও। মঙ্গলবার তা সহিংসতায় রুপ নেয়। এদিন আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী পদক্ষেপ নিলে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হন। বিকেলের দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বেপজার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান আশরাফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবারই জানানো হয়েছিল আজ কোম্পানি খোলা থাকবে না। বিকেলে মিটিং শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামীকাল থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে কি না।
স্থানীয় বাসিন্দা আহেদুল ইসলাম বলেন, গতকালের ঘটনার পর এখানকার পরিস্থিতি উত্তেজিত ছিল। তবে সেনাবাহিনী-পুলিশ মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আজকে সব কোম্পানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে ইপিজেড চালু করে দেওয়া হোক।
আরেক বাসিন্দা আরমান হোসেন বলেন, আমরা বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখছি কিছু শ্রমিক আন্দোলন করছে। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে কি হয়ে গেল, এত ঝামেলা আমরা বুঝতেই পারলাম না। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে সব কিছু। আমরা শুনছি ইপিজেড বন্ধের একটা পায়তারা চলছে। যদি এরকম কিছু থাকে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় জীবন দিতেও রাজি।
মঙ্গলবার শ্রমিক হত্যার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ।