Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৩ ঘন্টা আগে
  • ৯১ বার দেখা হয়েছে

সাদুল্লাপুরে ইউএনওর উদ্যোগে সেই মন্দির কমিটির দ্বন্দ্বের অবসান

সাদুল্লাপুরে ইউএনওর উদ্যোগে সেই মন্দির কমিটির দ্বন্দ্বের অবসান

তাজুল ইসলাম রেজা, সাদুল্লাপুর►

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের হামিন্দপুর গ্রামের কামারপাড়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরকে ঘিরে দুই ভাগে বিভক্ত ওই পাড়ার হিন্দু সমাজের দ্বন্দ্ব নিরসন হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলামের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দীর্ঘদিনের এই দ্বন্দ্বের অবসান হয়।

আজ (বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে প্রভাত চন্দ্র অধিকারীকে সভাপতি, দীলিপ কুমার সরকারকে সাধারন সম্পাদক ও মৃনাল কান্তি মিন্টুকে ক্যাশিয়ার করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। এ কমিটিতে উভয় পক্ষের লোকজনকে রাখা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাত চন্দ্র অধিকারী ও সহ-সভাপতি দীলিপ কুমার সরকার, ওই মন্দির কমিটির সভাপতি কুন্তল কান্তিা দাস, সাধারন সম্পাদক বিজয় চন্দ্র ও ক্যাশিয়ার কার্তিক চন্দ্র সরকার, সাবেক সভাপতি অনুকুল চন্দ্র সরকার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্দন মহন্ত, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের  উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিবেকানন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ট্রান ঐক্য ফ্রন্টের আহ্বায়ক সন্দীপ সরকার ও সদস্য সচিব প্রভাত চন্দ্র মহন্ত উপস্থিত ছিলেন। 

সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার জানান, ধারনা করা হচ্ছে দুই পক্ষের এই দ্বন্দ্বের কারণে কে বা কাহারা দুর্গোৎসবের নির্মাণাধীন এই প্রতিমা আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাত চন্দ্র অধিকারী ও সহ-সভাপতি দীলিপ কুমার সরকার, মন্দির কমিটির সভাপতি কুন্তূল চন্দ্র দাস ও সাবেক সভাপতি অনুকুল চন্দ্র সরকার জানান, আমাদের মধ্যে আর কোনো ভেদাভেদ নাই। আমারা সবাই একসাথে আসন্ন দুর্গোৎসব উদযাপন করবো।

প্রসঙ্গত. প্রায় দুই বছর আগে এই পাড়ার হিন্দু সমাজের মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতি অনুকুল চন্দ্র রনুর সাথে বর্তমান কমিটির ক্যাশিয়ার কার্তিক চন্দ্র সরকারের মন্দিরের আয়-ব্যয় হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জের ধরে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে ওই পাড়ার হিন্দু সমাজ। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে এই দুই সমাজের পক্ষ থেকে পাড়ার মন্দিরকে ঘিরে পৃথক পৃথক পুজার আয়োজন শুরু হয়। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে অনুকুল চন্দ্র রনুর পক্ষের নির্মাণাধীন প্রতিমায় দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। এতে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ প্রতিমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad