নিজস্ব প্রতিবেদক►
স্থানীয় দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারীদের অবস্থার উন্নয়নে গাইবান্ধায় শুরু হলো Promoting Resilient Green Growth in the Dairy Sub-Sector through Ensuring Resource-Efficient and Cleaner Production (RECP) শীর্ষক উপ-প্রকল্পের কার্যক্রম। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় এসকেএস ফাউন্ডেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
আজ (মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুরে অবস্থিত এসকেএস ইন রিসোর্টের বালাশী মিলনায়তনে প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সার্বিক দিক তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে প্রকল্প ব্যবস্থাপক উজ্জল কুমার কর্মকার জানান, সাশ্রয়ী উপায়ে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই দুগ্ধ শিল্প প্রসারের লক্ষ্যেই এই প্রকল্প কাজ করবে। প্রকল্পটি গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় দুধ উৎপাদন ও দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী এক হাজার উদ্যোক্তাকে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সাশ্রয়ী উপায়ে উৎপাদনে সহায়তা করবে। Sustainable Microenterprise and Resilient Transformation (SMART) প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর মেয়াদি উপ-প্রকল্পটিতে থাকছে দুগ্ধখামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, গোবর থেকে কম্পোস্ট ও বায়োগ্যাস উৎপাদন এবং দুধ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রযুক্তি সহায়তা।
সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে উদ্যোক্তারা আশা করেন, প্রকল্পটি তাদের দৈনন্দিন খামার ব্যয় কমাতে এবং উৎপাদিত দুধের মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের উদ্যোক্তা তাপস সরকার বলেন, “নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করলে আমরা কম খরচে বেশি দুধ উৎপাদন করতে পারব এবং বাজারে ভালো দাম পাব।”
এসকেএস ফাউন্ডেশনের পরিচালক (অর্থ) খোকন কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থাটির পরিচালক (মাইক্রোফিন্যান্স) ইমরান কবির। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের গাইবান্ধার সহকারী পরিচালক মো. খাদেমুল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. মিলন মিয়াসহ অন্যরা। এছাড়াও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, দুগ্ধ পণ্য উৎপাদক, প্রক্রিয়াজাতকারী এবং উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা এ অবহিতকরণ সভায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে দুগ্ধ খাত একটি সম্ভাবনাময় উপখাত। কিন্তু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, খামার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা এবং বাজারজাতকরণ সমস্যার কারণে খাতটি প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারছে না। ‘স্মার্ট’ উপপ্রকল্প এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।