তাজুল ইসলাম রেজা, সাদুল্লাপুর►
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ওয়ার্ড কমিটি গঠন না করে গোপনে বিএনপির বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পায়তারা ও বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির একাংশের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে উপজেলা বিএনপির বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ (বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই ইউনিয়ন বিএনপির একাংশের নেতারা এই অভিযোগ করেন।
সম্মেলনে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও উপজেলা কমিটির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সহ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইতোমধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কাউন্সিলের মাধ্যমে অনিয়ম করে ফ্যাসিস্টদের পুনর্ণবাসন করে কমিটি গঠন করেছে। এদিকে এখন পর্যন্ত বনগ্রাম ইউনিয়নের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বনগ্রাম ইউনিয়নে কোন প্রকার ওয়ার্ড কমিটি গঠন না করে জেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব গোপনে বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করেছে। এরই প্রতিবাদে ও সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের দাবিতে গত ৩১ আগস্ট স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমাবেশস্থলে জমায়েত হলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান ছামছুল ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস ছালাম মিয়ার নির্দেশে তাদের অনুসারীরা সামাবেশে হামলা করে। এসময় তারা মাইক ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের লাঞ্চিত করেছে। শুধু তায় নয়, এরপর বিক্ষোভ মিছিল করে পুনরায় শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হলে দ্বিতীয় দফায় আবারও তারা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলাকারীদের আঘাতে বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান সরকার, বিএনপি নেতা শাহজাহান মিয়া ও মকবুল হোসেনসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
রেজাউল করিম রাজু এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারসহ স্বচ্ছভাবে বনগ্রাম ইউনিয়ন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মিয়া, বনগ্রাম বিএনপির একাংশের নেতা সৈয়দ মজনু মিয়া, দেলওয়ার রহমান, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত বনগ্রাম ইউনিয়নের কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয় নাই। কমিটি গঠনের প্রশ্নেই আসে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কেউ সমাবেশে হামলা করে নাই। জামায়াত ও ফ্যাসিস্টদের সাথে নিয়ে তারাই হামলা করে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ও তার সামনে থাকা বেশ কয়েকটি মোটসাইকেল ভাঙচুর করেছে। এছাড়া নেতাকর্মী ও সাধারণ লোকজনকে মারপিট করেছে।