• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৭-৬-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৩:৪৩
  • ৪৯ বার দেখা হয়েছে

গোবিন্দগঞ্জে পটল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

গোবিন্দগঞ্জে পটল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

গোপাল মোহন্ত, গোবিন্দগঞ্জ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রতিকুল আবহওয়া সত্বেও পটলের ভাল ফলন হয়েছে। এখন জমিতে জমিতে চলছে পটল উঠানো আর পরিচর্চার কাজ। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে দর ভালো পাওয়ায় খুশি চাষীরা। প্রতিকুল আবহাওয়ায় অন্য সবজির ফলনে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও পটলের ভাল ফলন ও দাম ভাল পেয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। 

প্রতিবছর উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের, কালিকাডোবা, অনন্তপুর, মালগুদাম পারগয়ড়া, বিলভর্তি, ছয়ঘড়িয়া, বালুভরা, কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা, ফাঁসিতলা, রসুলপুর, ঘোড়ামারা, সতিতলা, কোচাশহর ইউনিয়নের ধর্মা, চানপাড়া, ভাগ্যগোপাল, দরবস্ত ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী, সাতানা বালুয়া, মারিয়া, কাজীপাড়া, গন্ধববাড়ী, গোশাইপুর, রহলা, রামনাথপুর, পৌর এলাকার কালিকডোবা, ববনপুন, চরপাড়া সহ আরো ৭টি ইউনিয়নে এ বছর পটলের ভাল আবাদ হয়েছে। 

কার্তিক মাসে জমিতে মাচা করে লাগানো পটল চৈত্র মাস থেকে ফসল উঠানো শুরু হয়। চাষের শুরুতেই খরায় পানির অভাবে উৎপাদন কিছুটা ব্যহত হলেও পরে বৃষ্টিপাত ও আবহওয়ায় পটলের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। সেই সাথে বাজার দর ভালো পাওয়ায় পটলের আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। বর্তমানে খুচরা বাজারে  প্রতিমণ পটল ১হাজার ২শ’ টাকা আর পাইকারী বাজারে  সাড়ে ৭শ’ টাকা মণ পটল বিক্রি হচ্ছে। পটলের ভাল আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এই এলাকার কৃষকরা। গত বছর এই উপজেলায় মাত্র ৬৪ হেক্টর জমিতে পটল চাষ হলেও এবার ১শ ২ হেক্টর জমিতে ২ হাজার  জন কৃষক পটল চাষ করেছেন।

পৌর এলাকার কালডোবা গ্রামের কৃষক বাটু মিয়া জানান পটল চাষে তুলনামূলক খরচ কম। একবার মাচা তৈরী করলে বেশ কয়েকবার পটল চাষের জন্য ব্যবহার করা য়ায়। বার বার না করার কারণে খবচ কম পড়ে যে কারণে এ সবজি চাষে  লাভবান হওয়া যায়। 

এখন প্রতিবছরই কৃষকদের মাঝে পটল চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আতিমাত্রায় বৃষ্টি বা বন্যা না হওয়ায় অপেক্ষাকৃত নীচু জমিতেও পটল আবাদ হয়েছে। ১ বিঘার একটি ক্ষেত থেকে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত পটল পাওয়া যাচ্ছে । 

দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের সোরাফ আলী বলেন, উৎপাদনের শুরুতেই পাইকারী বাজারে প্রতিমণ পাটল ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। বাজারে এখনও ৭শ’  থেকে সাড়ে ৭শ টাকা মণ দরে পটল বিক্রি হচ্ছে। 

ঢাকা থকে আসা পাইকারী সবজি ত্রেতা  রহমত আলী জানান, প্রতি সপ্তাহে  ৩ট্রাক পটল  ঢাকার বাজারে পাঠাতে হয়। আগে দাম বেশী থাকায় তেমন ব্যবসা ভাল হয়নি এখন দাম কমে যাওয়ায় মোটামোটি লাভবান হওয়া যাচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  মেহেদী হাসান বলেন, পটলের ফলন শুরুর ৬ মাস পর্যন্ত উঠানো ও বিক্রি করা যায়। তাই এর চাষা-আবাদে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারি সহ সকল কর্মকর্তারা পটল চাষিদের পরামর্শ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছেন। 

 উন্নত জাত সম্প্রসারন,সার ও বীজ সহায়তার পাশাপাশি ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করলে আগামীতে এই  এলাকায় পটল চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়