মাধুকর ডেস্ক►
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যক্তিগত চ্যাট তো আছেই অফিসের তথ্য আদান প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মটিতে। শুধু তথ্য আদান প্রদান নয়, ছবি, ভিডিওসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল শেয়ার করা হয় এখানে। এজন্য আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটির সুরক্ষা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।
যদিও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য, ছবি, চ্যাট, অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে এরই মধ্যে অনেক ফিচার এনেছে। যা ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করেছে। তারপরও ব্যবহারের ভুলে যে কোনো সময় হ্যাক হতে পারে কিংবা নিষিদ্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটি কাজ করতে পারেন। দেখে নিন কী কী করবেন-
১. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এনেবল করুন
এটিকে ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের প্রধান রক্ষী বলা হয়। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনে একটি নতুন ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে নিজেদের নম্বর রেজিস্টার করার সময় মেসেজ যাচাইকরণ এবং একটি ছয়-সংখ্যার পিনের প্রয়োজন হয়, যা নিরাপত্তার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। তাই একটি শক্তিশালী এবং অনন্য পিন সিলেক্ট করতে হবে, যা সহজে অনুমান করা যায় না।
২. আঙুলের ছাপ/ফেস আইডি লক ব্যবহার করুন
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে লক। কাউকে নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট না দেখতে দেওয়ার জন্য এটি সক্রিয় রাখতে হবে। নিজেদের ফোন আনলক করা থাকলেও হোয়াটসঅ্যাপে অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধ করতে নিজেদের ফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি লক ফিচার সক্রিয় করতে হবে। এটি নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর যোগ করে।
৩. নিজেদের তথ্য নিয়ন্ত্রণ
প্রত্যেকের ‘লাস্ট সিন’ বা প্রোফাইল ছবি দেখার দরকার নেই। নিজেদের গোপনীয়তা সেটিংস পর্যালোচনা করতে হবে এবং কাস্টমাইজ করতে হবে যে, কে সেই প্রোফাইলের তথ্য, স্ট্যাটাস আপডেট এবং লাস্ট সিন স্টেটাস অ্যাক্সেস করতে পারে। এগুলোকে শুধু নিজেদের পরিচিতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বিবেচনা করতে হবে বা সর্বাধিক গোপনীয়তার জন্য সেগুলোকে সম্পূর্ণরূপে লুকিয়ে রাখতে হবে।
৪. ফিশিং লিঙ্ক থেকে সতর্ক থাকুন
ই-মেইলের মতোই, স্ক্যামাররা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাগুলোর মধ্যে সন্দেহজনক লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করার জন্য প্রতারণা করার চেষ্টা করতে পারে। তাই অপরিচিত নম্বর থেকে আসা বা জরুরি অনুরোধ বা অবিশ্বাস্য অফার সম্বলিত বার্তা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। যদি একটি বার্তা স্ক্যাম বলে মনে হয়, তাহলে সেই ধরনের কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা এড়িয়ে চলতে হবে এবং প্রেরককে রিপোর্ট করার কথা বিবেচনা করতে হবে।
৫. লিঙ্ক করা ডিভাইসের দিকে খেয়াল রাখুন
নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কোথায় কোথায় সক্রিয় তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের এটি দেখার অনুমতি দেয়, যে বর্তমানে কোন কোন ডিভাইসে সেই অ্যাকাউন্ট লগ ইন করা হয়েছে। কেউ যদি একটি অপরিচিত ডিভাইস লক্ষ্য করে, তাহলে অননুমোদিত অ্যাক্সেস প্রতিরোধ করতে দূরবর্তীভাবে লগ আউট করা যেতে পারে। নিজেদের লিঙ্ক করা ডিভাইসগুলো পর্যায়ক্রমে চেক করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে, বিশেষ করে যদি আপনার পাবলিক কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভ্যাস থাকে।