তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অগ্রহায়ণের শুরু থেকে আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। এসব কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষক ও শ্রমিকেরা।
নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ফলন এবং বাজারদর ভালো হওয়ায় খুশি তারা। তবে দিনমজুর সংকটে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কৃষকেরা। নিম্ন শ্রেণির কৃষক ও বর্গা চাষিরা পরিবার পরিজন নিয়ে ধান কাটা-মাড়াই করতে পারলেও বিপাকে রয়েছে অনেকে। ধানের চেয়ে খড়ের বাজারদর ভালো এবং সবজি চাষাবাদের কারণে উঁচু ও চরাঞ্চলের কৃষকরা আগাম ধান কাটামাড়াই শুরু করে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদে মোট খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। ফলন মোটামোটি ভাল হলে ১৫ হাজার টাকার ধান বিক্রি করা যায়। এছাড়া বর্তমানে এক বিঘা জমির খড় বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার টাকা।
উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের কৃষক সুজা মিয়া বলেন, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদ করেছে। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে দুই বিঘা জমির ধান কেটেছে। তিনি আশা করছেন প্রতি বিঘা জমিতে তার ফলন হবে ১৫ হতে ১৬ মন। বর্তমান বাজারে যার দাম ১২ হতে ১৩ হাজার টাকা। পাশাপাশি খড়ের দাম ৫ হাজার হতে ৬ হাজার টাকা। তিনি বলেন কাটামাড়াইয়ে দিনমজুরকে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। খুব বেশি লাভ হবে না।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা লিটন মিয়া জানান, নদীর চরাঞ্চলে ধানের ফলন অনেক ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকরা সবজি চাষাবাদের জন্য আগাম ধান কাটামাড়াই শুরু করেছে। তিনি বলেন ধানের খড় বিক্রি করে কৃষকরা এখন অনেক লাভবান।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, চলতি মৌসুমে আমনের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। নানা প্রতিকূলতা থাকার পরও আমনের লক্ষামাত্রা ছাড়িয়ে অর্জিত হবে আশা করছি। কৃষকরা আগাম জাতের ধান কাটামাড়াই শুরু করেছে। অনেক কৃষক আগাম আলু, মরিচ, পেঁয়াজ, কপিসহ সবজি চাষাবাদের কারণে ধান কাটামাড়াই শুরু করেছে।