Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১০-১০-২০২২, সময়ঃ সকাল ০৯:৩২

বিলুপ্তের পথে মৃৎশিল্প দুর্দিনে কারিগরেরা

বিলুপ্তের পথে মৃৎশিল্প দুর্দিনে কারিগরেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ►

গ্রাম-বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক বাহক মৃৎশিল্প অর্থাৎ মাটির তৈরি জিনিষপত্র এখন আধুনিকতার চাপে বিলুপ্তির পথে। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্টপোষকতা, উপকরণ সংকট, তৈরি ব্যয় সাথে বাজারে প্লাস্টিক সামগ্রির জিনিসপত্রের কাছে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশের এক সময়ের চিরচেনা এই মৃৎশিল্প। সেইসাথে হারিয়ে গেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাঁজানো দোকানপাঠ। তবে, সরকারি-বেসরকারি পৃষ্টপোষকতা ও আর্থিক সহায়তা পেলে এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা প্রাচীন এই শিল্পকে  টিকে রেখে আয়-উপার্জনের পথ খুঁজে পাওয়াা দাবী তাদের। 

গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলা মৃৎশিল্পের সাথে জীবিকা নির্বাহী করে এখনো টিকে আছে কুমার সম্প্রদায়ের অন্ততপক্ষে ১১ হাজার পরিবারের অন্ততপক্ষে ৮০ হাজার নারী ও পুরুষ। তবে, এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত মাননুষের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। নানা সীমাবদ্ধতা ও সংকটের মাঝেও বংশপরম্পরা পূর্বপুরুষদের পেশাটি ধরে রেখেছেন অনেকেই। মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত মাটির কারিগরেরা বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে টিকে রাখলেও এসব পরিবারের জীবন মানের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা করতে তেমন কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না। 

সাঘাটার কুমারপাড়া গ্রামের মৃনালকান্তি জানান বাপ-দাদার পেশা, ছোট বেলা থেকে এই কাজ করে চলছি। কিন্তু এখন আর সংসার চলে না। তবু ধরে আছি। সদর উপজেলার খোলাহাটি গ্রামের ননীবালা জানান পরিবারের সবাই মাটির তৈরি নানা দ্রব্য তৈরি করেই টিকে আছি, তবে এই সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেলেও মাটির তৈরি পণ্য মূল্য ও চাহিদা বাড়ে নাই। 

সাঘাটা বাজারের দ্বিজেন্দ্র নাথ পাল জানান, চৈত্র-বৈশাখ মাসে  মেলা ও উৎসব উপলক্ষে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের  কিছুটা কদর থাকলেও অধিকাংশ সময় তেমন চাহিদা থাকে না। এতে করে তৈরিকৃত মাটির জিনিসপত্র সংরক্ষণ নিয়ে বেশ বিপাকেই থাকতে হয়। 
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সুভাষ চন্দ্র বলেন, প্রযুক্তির ফলে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ভাটা পড়লেও এই পেশার সাথে জড়িত পরিবারগুলো টিকে রাখতে চান বাপ-দাদার এই প্রাচীন পেশাকে। তবে তারা সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক সহায়তা পাশাপাশি মৃৎশিল্পের সাথে সম্পৃক্তরা  নান্দনিক শৈল্পিক মর্যাদাও প্রত্যাশা তাদের। 

গাইবান্ধা চেন্বার অব কমার্সের সদস্য নওশের আলম জানান, এই পেশার সাথে সম্পৃক্তদের সরকারি বেসরকারিভাবে পৃষ্টপোষকতা ও সহায়তা করে প্রাচীণ সংস্কৃতির এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। 

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, সরকার সবসময় প্রাচীন সংস্কৃতি রক্ষা করে থাকে। যারা এই পেশার সাথে রয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হলে সরকার সহায়তা করবে বলে তিনি জানান। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad