• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৯-৬-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:০৯
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি সুনামগঞ্জে

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি সুনামগঞ্জে

মাধুকর ডেস্ক ►

পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা, ছাতক, দোয়ারাবাজারসহ নিম্নঞ্চলের বসতবাড়ি, দোকান, চলাচলের সড়ক, মসজিদ, মন্দির পানিতে ডুবে গেছে। বসতবাড়ি ও দোকানের মালামাল রায় উৎবেগ আর উৎকণ্ঠায় আছে নদী তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হু হু করে পানি বাড়ায় জেলার পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক, দোকান ও বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে। জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পানি বাড়ায় বেলডুল, অনন্তপুর, ফহেতপুর, রাধানগর, দরেরপাড়, পেয়ারী নগর, পদ্ম নগর, ভাটিপাড়া, ললিয়ারপুর, কৈয়ারকান্দা, বাঘমারা, দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের ৮ শতাধিক অসহায় পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে।

মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সুনামগঞ্জের ষোলগড় পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সুরমা নদীর পানির গতি বেশি ছিল। এছাড়া ছাতক পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ও তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পানির গতি আগের চেয়ে কমেছে। রাত ১১টার পর থেকে বৃষ্টিপাত বাড়বে। সেইসঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা শাকিল আহমেদ জানান, ঢলের পানি ভাটির দিকে প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় হু হু করে বাড়ছে পানি। যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এতে ২০২২ সালের বন্যার মতোই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ বন্যার আতঙ্কে উৎবেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মফিজুর রহমান জানান, পানি বাড়ায় উপজেলার ২২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৮০০ মানুষ অবস্থান করছেন। দিনভর বন্যাকবলিত মানুষদের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, বন্যা পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদপে নেওয়া হয়েছে। জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদপে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়