তাজুল ইসলাম রেজা, সাদুল্লাপুর►
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক। নিজ এলাকা সাদুল্লাপুর উপজেলায় একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে তিনি এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন। উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ থাকলেও দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর এই জনরোষ সৃষ্টি হয়।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ঘেগার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে ফেসবুক লাইভে এসে জেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ সাদিক উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবের বহিষ্কার দাবি করেন। উপজেলা বিএনপি ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক উপজেলার বকশিগঞ্জ এলাকায় একটি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান যোগ দেন। সেখান থেকে সাদুল্লাপুরে ফেরার পথে ওই এলাকায় স্থানীয় জনগন তার গাড়ির গতিরোধ করে।
এ সময় তারা ডাঃ সাদিককে অভিযোগ করে বলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকার এলাকার মানুষকে তুচ্ছ কারণে মারধর করেন। এছাড়া এলাকায় নানান অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তার এসব অপকর্ম-অত্যাচারে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা বিএনপি’র নেতাদের একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলিনি। সর্বশেষ জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের কাছেও এ নিয়ে অভিযোগ করা হয়। কিন্ত তিনিও পারভেজের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি। এ কারণে তারা তাঁর গাড়ির গতি রোধ করে পারভেজকে থেকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানান। পরে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ডাঃ সাদিক পারভেজকে বহিষ্কার করার আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে ফেসবুক লাইভে এসে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক বলেন, “সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকারের অপকর্মে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়েছে। এ কারণে আমি কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রদল নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই মুহুর্তে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার কিংবা অব্যাহতিসহ পুণরায় উপজেলা ছাত্রদলের পূণগঠন দাবি করছি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছামছুল হাসান ছামছুল জানান, এ বিষয়ে তার কাছে এরআগে কেউ কোন অভিযোগ করেননি।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক বলেন, সোমবার রাতে স্থানীয় জনতা তার বহিষ্কারের দাবিতে আমার গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। বিষয়টি জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ক্ষতিয়ে দেখছে।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকার জানান, স্থানীয় একটি মাজার ও ওয়াকফ স্টেট এর মোতাওয়াল্লি নিয়োগ নিয়ে স্থানীয় শহিদুল ইসলাম সরকার এবং মইনুল প্রধানের মধ্যে বিবাদ চলছে। শহিদুল ইসলাম আমার চাচা হয়। এ কারণে মইনুল প্রধান ও তার লোকজন তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলে তার বহিষ্কারের দাবি তুলেছে।