মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু►
১১ এপ্রিল শুক্রবার, দিনটি ছিলো গাইবান্ধার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য একটি ভিন্নমাত্রার উৎসব মুখর দিন। মোহনার সংগীতানুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় জেলার শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তন হয়ে উঠেছিলো একটি মিলনমেলার দিন। কানায় কানায় পূর্ণ দর্শক-শ্রোতা উপভোগ করলো সুরের মূর্ছনার এই সংগীতানুষ্ঠান। গান গেয়েছেন বেতার ও টিভি আর্টিস্ট আশিকুর রহমান আশিক এবং প্রতিশ্রুতিশীল সুরেলা কন্ঠের শিল্পী দিবা অবনী প্রকৃতি।
দুজনের গানের সিলেকশন ছিলো দারুণ এবং পরিবেশনাও ছিলো অসাধারণ। দর্শকদের করতালিতে বার বার মূখরিত হয়ে ওঠে শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তন। দুজনেই গাইবান্ধার কৃতি সংগীত শিল্পী। জনপ্রিয় উপস্থাপক শিরিন আকতারের উপস্থাপনায় আমাদের মাঝে থেকে যারা না ফেরার দেশে চলে গেছেন তাঁদের শ্রদ্ধায় ও স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন। এরপর মোহনার পক্ষে সমাজসেবক সাহাদত হোসেন সুজা এবং লেখক ও কবি নাসরিন সুলতানা রেখা শিল্পীদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেয়।
আশিক গান গেয়েছেন তার মৌলিক গান, কিশোর কুমারের-নয়ন সরসী কেন ভরেছে জলে, আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো, নচিকেতার-যখন সময় থমকে দাঁড়ায়, খালিদ হাসান মিলুর-শুধু একবার বলো ভালোবাসি, রবি চৌধুরীর-আকাশ হারায় নীল।
অন্যদিকে প্রকৃতি গেয়েছেন- সামিনা চৌধুরীর গান, ফাহমিদা চৌধুরীর-লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প, মায়ের ওপর গান, লতা মুঙ্গেশকরের আজ নয় গুনগুন, যা রে যারে উড়ে যারে পাখী এবং ও আমার ময়না গো। এছাড়া দুজনে ডুয়েট গান গেয়েছেন-ও আমার ময়না গো…।
শিল্পীদের সাথে যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা যে মনমুগ্ধকর সংগত করেছেন তা ছিলো অসাধারণ। তবলায় ছিলেন জনপ্রিয় তবলা শিল্পী মাহমুদ সাগর মহব্বত, কি বোর্ডে ছিলেন কি বোর্ড স্পেশালিস্ট মাস্টার এসএম স্বাধীন এবং প্যাডে প্রবীর।
অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীদের ক্রেস্ট প্রদান এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন মোহনার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এবং আশিকের সংগীত গুরু খাজা সুজন এবং মোহনার সহকারী পরিচালক রিক্তু প্রসাদ।