নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘পর্যাপ্ত পুষ্টি ক্যাম্পেইন’ বিষয়ক এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (সোমবার, ১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এসকেএস ইন রিসোর্টের বালাসী মিলনায়তনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ সংলাপের উদ্বোধন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর (প্লেন ল্যান্ড ক্লাস্টার) জেনি মিলড্রেড ডি ক্রুশ।
সংলাপে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার উত্তম দাস, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড সোস্যাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি কো-অর্ডিনেটর তানজিমুল ইসলাম, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার জোসেফ মার্ডি, প্রোগ্রাম অফিসার আলবার্ট সরকার ও সদরের খোলাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসমা হক্কানী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংস্থাটির প্রোগ্রাম অফিসার জান্নাতুল মাওয়া। এছাড়াও শিক্ষক, কৃষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, গৃহিনী, ইমাম, প্রতিবন্ধী, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপে বক্তারা বলেন, সুস্থ-সবল থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে খাবারটা হতে হবে নিরাপদ। অর্থ নয়; সচেতনতা ও অভ্যাসের কারণে আমরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছি। এতে আমাদের আগামী প্রজন্ম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যে টাকা দিয়ে পান, বিড়ি, সিগারেট বা ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছি সেই টাকা দিয়ে পুরো পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। পুষ্টিহীনতার কারণে নারীরা সঠিকভাবে গর্ভধারণ করতে পারছে না। শিশুরা কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। পরিণত বয়সে সঠিক উচ্চতায় বেড়ে উঠছে না। এজন্য আমাদের সবাইকে পুষ্টির বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের স্বপ্ন বাংলাদেশে শূণ্য থেকে ১৮ বছর বয়সী সকল শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টিকর নিরাপদ খাবার ও খাদ্য নিরাপত্তার মধ্যে বেড়ে উঠবে। সকল স্তরে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি, শিশুর পুষ্টির অবস্থার উন্নয়ন, কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল শিশুর জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।