অনলাইন ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। জাভা দ্বীপের পূর্বাংশে এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে প্রায় ২ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত জারি করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে তাৎণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বিমান ভ্রমণ প্রভাবিত হয়নি। তবে তাদের সতর্ক থাকার জন্য স্থানীয় দুটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বায়ু ডেনি আলফিয়ান্তো নামে এক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন বেশির ভাগ রাস্তা আজ সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এখন আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই বৃষ্টি হচ্ছে। ছাই বৃষ্টির তীব্রতা এত বেশি যে, এর ফলে পাহাড় আমাদের দৃষ্টির বাইরে চলে গেছে।’
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, ১ হাজার ৯৭৯ জনকে আশপাশের ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং কর্তৃপ স্থানীয়দের মধ্যে বাসিন্দাদের মাস্ক বিতরণ করেছে। এদিকে, জাপানের মিটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আগ্নেয়গিরিটি সুনামি সৃষ্টি করতে পারে সেই আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সংস্থাটি বলেছিল আগ্নেয়গিরির ছাই ১৫ কিলোমিটার বা প্রায় ৫০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
গত বছর জাভার সর্বোচ্চ পর্বত সেমেরুতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এর আগে, দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে ৬৪০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্পের গত মাসেও ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল।