বেরোবি সংবাদদাতা►
আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং ওই মামলার এজহারনামীয় আসামি হওয়ায় রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ ৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২ শিক্ষার্থীর নামে থানায় মামলা করা হবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ (সোমবার, ২৮ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পরে দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী এ কথা জানান।
বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষক হলেন- গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান এবং লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মন্ডল।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিতকরণ ও শাস্তির ধরন নির্ধারণের জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর তিন সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন মজানুর রহমান, সদস্যসচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমান এবং সদস্য করা হয় অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমির শরীফকে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৭২ শিক্ষার্থীর নামে থানায় মামলা করা হবে। এ ছাড়াও শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা পলাতক রয়েছেন, তাঁদের ছুটি বাতিল করা হবে এবং সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিন্ডিকেট সদস্য রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মডিউর রহমান।