আন্তর্জাতিক ডেস্ক►
সারাবিশ্ব জুড়ে ২৯ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। স্ট্রোক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য– ‘একত্রে আমরা স্ট্রোকের চেয়ে বড়’।
এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, সারা বিশ্বে প্রতি ছয়জনে একজন এই রোগের ঝুঁকিতে আছে। প্রতি বছর প্রায় ১৫০ লক্ষ লোক এ রোগে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে ৬০ লাখ লোক মারা যান এবং ৫০ লাখ লোক আজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে পরেন।
বাংলাদেশে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক। দেশে বর্তমানে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ লোক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবে ভুগছে। প্রতি ১ হাজারে আক্রান্ত হচ্ছে অন্তত ১০ জন।
আমাদের দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে। প্রতি হাজারে গড়ে ৩ থেকে ৫ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্তের হার বেশি লক্ষ্য করা গেলেও যে কোন বয়সেই তা হতে পারে। ৫০ বছর বয়সের পর প্রতি ১০ বছরে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। মহিলাদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্তের হার কম। ফাস্টফুডে আসক্তদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শিশু ও তরুণদের অনেকে খাদ্যাভ্যাসের কারণে স্ট্রোক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।
স্ট্রোকের এই ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে এবং মানুষকে সচেতন করতে ইউরোপিয়ান স্ট্রোক অর্গানাইজেশন ১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম স্ট্রোক দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়; কিন্তু অর্থসংকটে থাকায় তারা শুধুমাত্র ইউরোপের মধ্যেই মে মাসের ১০ তারিখে এ দিবসটি পালন করে।
২০০৪ সালে কানাডার ভ্যানকুভারে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক কংগ্রেসে প্রথম বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালন করার কর্মসূচি চালু করা হয়।
২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক সোসাইটি এবং ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক ফেডারেশন একত্রিত হয়ে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন তৈরি করেন যারা পরে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালনের দায়িত্ব নেন।
২০০৭ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশানের অধীনে প্রতিবছর স্ট্রোক সচেতনতা বাড়াতে ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস’ পালন করা হচ্ছে।