শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর ►
নীলফামারী জেলায় চিলাহাটি থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার রেলপথের ৯টি স্টেসনের মধ্যে ৫ টিই বন্ধ হয়ে গেছে। এই স্টেসনগুলো হলো- খয়রাতনগর, নীলফামারী কলেজ, দারোয়ানী, তরনীবাড়ী ও মির্জাগঞ্জ।
জনবলের অভাবে এমন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবী। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভবনগুলোর বেহাল অবস্থা। দেখাশোনার দায়িত্বে কেউ না থাকায় বেশিরভাগ অবকাঠামো নষ্ট ও মালামাল খোয়া যাচ্ছে। স্টেসনগুলো পুনরায় চালু করার দাবি এলাকাবাসীর।
এই রেলপথটিতে আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়াও কয়েকটি মেইল ও লোকাল ট্রেন চলাচল করতো। ফলে একসময় জেলার ৯টি স্টেসনই ছিল মানুষের কোলাহলে মুখরিত। আর এখন শুধুমাত্র আন্ততঃনগর ট্রেন চলাচলা করায় এবং যাত্রীদের চাহিদা সত্বেও ট্রেনের স্টপেজ না দেয়ায় এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্টেসনগুলোর গুরুত্ব না ফুরালেও রেল ব্যয় সংকোচন নীতির ফলে মেইল ও লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে মাত্র ৪টি স্টেসন ব্যবহার করা হচ্ছে। বন্ধ স্টেসনগুলো থেকে রেলপথ বিভাগ বিরাট অংকের রাজস্ব আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘ সময় স্টেসনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় অবকাঠামো ও মালামাল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এলাকার মানুষের চলাচলের ভোগান্তি বেড়েছে। সহজ ও কম খরচে রেলপথে ভ্রমণ এখন এ অঞ্চলের মানুষের কাছে অতীত।
অতিরিক্ত টাকায় এখন বাসে চলাচল করতে হচ্ছে। তাদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে পুনরায় রেল স্টেসনগুলো চালু করার দাবি জানিয়েছে তারা। এতে রেলওয়ের আয়ও বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য তাদের।
নীলফামারীর সিনিয়র স্টেসন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, বন্ধ স্টেসনগুলোর বেহাল দশার কথা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন জনবল বৃদ্ধি পেলে এগুলো আবার চালু করা হবে।