প্রেস বিজ্ঞপ্তি►
আজ (বুধবার, ১৩ নভেম্বর) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চন্ডিপুর গ্রামের মো:সাদেকুল ইসলাম রিপনের বাড়ির উঠানে এক ব্যতিক্রমধর্মী কৃষক স্কুল ‘এগ্রোমেট ফার্ম (ফোরকাষ্ট বেইসড এপ্লিকেশন ফর ডিজেষ্টার রিক্স রিডাকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট) স্কুল’ এর সূচনা করা হয়েছে।
গাইবান্ধার সুপরিচিত একটি বেসরকারী উন্নয়ন সহযোগি প্রতিষ্ঠান এসকেএস ফাউণ্ডেশন জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর অর্থায়নে সেভ দ্য চিলড্রেন এর সার্বিক সহযোগিতা এবং রাইমস এর কারিগরি সহায়তায় গত ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে ‘চাইল্ড সেন্ট্রার্ড এন্টিসিপেটরী একশন ফর বেটার প্রিপার্ডনেস অব কমিউনিটিস এন্ড লোকাল ইন্সটিটিউট ইন নর্দান এন্ড কোস্টাল এরিয়াস অব বাংলাদেশ’ নামক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।
প্রকল্পটি গাইবান্ধা জেলায় তিনটি উপজেলার ১২ ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লক্ষিত পরিবারের জীবিকায়ন ও সম্পদের ক্ষতি হ্রাসে কাজ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারগনের অংশগ্রহন,সম্পৃক্ততা,সামর্থ্য ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে মোবাইল অনলাইনের মাধ্যমে বামিস পোর্টালসহ অন্যান্য আবহাওয়া সংক্রান্ত লোকেশন ব্যবহার কৃষি ফসলের চাষাবাদ সময়, পদ্ধতি, ইন্টাকালচার অপারেশন, পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পরিবেশ বিবেচনায় রেখে কিভাবে কৃষকগণ উপকৃত হবে সেসমস্ত বিয়য়ে বছরব্যাপি প্রশিক্ষণ/শিখন ব্যবস্থার জন্য এই স্কুল এর আয়োজন করেছে।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এর উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ এই কৃষি ফার্ম স্কুলের ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে সেশন পরিচালনা, উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রশিক্ষন পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রতিমাসে পাক্ষিক ভিত্তিতে প্রতিটি স্কুলে ২ টি করে ১২ মাসের পরিকল্পনা মাফিক এবং কৃষকদের চাহিদার ভিত্তিতে সেশন পরিচালনা করা হবে।
এই স্কুলটি চলবে আগামী ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। উল্লেখ্য যে, এসকেএস ফাউণ্ডেশন মাধ্যমে এই প্রকল্পটি গাইবান্ধা জেলায় মোট ৩টি উপজেলা যথাক্রমে ফুলছড়ি,সুন্দরগঞ্জ এবং গাইবান্ধা সদর ১২ টি ইউনিয়নে ১২টি কৃষক ফার্ম স্কুল চালু করেছে। প্রতিটি স্কুলে স্মাটফোন ব্যবহার করে এমন অংশগ্রহনকারী কৃষক সদস্য সংখ্যা ২৫জন। স্কুলের শুরুতেই অংশগ্রহনকারী কৃষকগণ অত্যান্ত আগ্রহ ও আনন্দের সাথে এই ধরনের কৃষক স্কুলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এই স্কুলের মাধ্যমে বন্যা এলাকার কৃষকগণ অনেক বেশী উপকৃত হবে এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
প্রতিদিনে আবহাওয়া বার্তা,বৃষ্টিপাত,বাতাসের গতিবিধি,আদ্রতা ইত্যাদি সচেতন হবে। মাঠ ফসল,উদ্যানফসল ও বসতবাড়ির সব্জিচাষের প্রয়োজনীয় যৌক্তিক ব্যস্থাপনা গ্রহনে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তাদের মাধ্যমে আশেপাশের কৃষকগণও উপকৃত হবে। স্কুলের সূচনালগ্নে সকলের পরিচিতি, প্রকল্প ধারনা,স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার পাল। উপসহকারী কৃষি অফিসার মো: সাজ্জাদুর রহমান অংগ্রহনকারীদের প্রত্যাশা,মূল সেশন এবং আহাওয়ার ওয়েবসাইড বামিস পোর্টাল ব্যবহার সংক্রান্ত বিয়য়ে হাতে কলমে দেখিয়ে দেন। প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মোছা: তাজনাহার আক্তার এবং মোছা: জাকিয়া সুলতানা এসময় উপস্থিত থেকে সহায়তা করেন।