মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু ►
গাইবান্ধার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন মোহনা এবারে আরেকটা চমক দিয়ে শেষ করলো তাদের ১৫৩তম সংগীতানুষ্ঠান। সুরের মায়াজালে দর্শকদের তেষ্টা পূরণ করলেন লালমনিরহাট জেলার কিশোরী কন্ঠ শিল্পী শৈলী বর্মণ স্নেহা এবং নীলফামারী জেলার শ্যামল রায়। আধুনিক বাংলা গানের খ্যাতিমান শিল্পীদের গান যেভাবে হুবহু তালে, লয়ে ও সুরে গাইলেন তাতে তো আশ্চর্য হওয়ারই কথা। সুরের যাদুকরী এই দুইজন শিল্পী গান গেয়েছেন শুক্রবার সন্ধায় গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে।
জনপ্রিয় ও সদা হাস্যজ্জল বাচিক শিল্পী শিরিন আকতারের উপস্থাপনায় আমাদের মাঝে থেকে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য গুণিজন ব্যক্তিত্ব যারা না ফেরার দেশে চলে গেছেন তাদের স্মরণে ও শ্রদ্ধায় সকলে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন। অতপর শিল্পীদের মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয় এবং অতিথি শিল্পীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করা হয়। মোহনার পক্ষে শিল্পীদের ফুলের তোরা দিয়ে অভিষিক্ত করলেন গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি এবং সমাজকর্মী মায়ারানী পোদ্দার।
শৈলী বর্মণ স্নেহা গান গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, লতা মুঙ্গেসকর, হৈমন্তী শুক্লা, শুভ মিতা ও অন্যান্য শিল্পীদের জনপ্রিয় কয়েকটি আধুনিক গান। অন্যদিকে শ্যামল রায় গান গেয়েছেন শ্যামল মিত্র, মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, খালিদ হাসান মিলু, লাকি আকন্দের জনপ্রিয় কিছু গান।
যন্ত্র সংগীতে শিল্পীদের খুবই দক্ষতার সাথে সংগত করেছেন তবলায় নন্দিত তবলা শিল্পী মাহমুদ সাগর মহব্বত, কি বোর্ডে এসএম স্বাধীন, প্যাডে মানিক বর্মন ও গিটারে তানভির মাহাতাব।
সংগীত পরিবেশনা শেষে সংকলন লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী যামিনি রঞ্জন সেন প্রতিবারের ন্যায় এবারও শিল্পীদের বই উপহার দেন এবং শিল্পীদের ক্রেস্ট দিয়ে অভিনন্দিত করলেন মোহনার সদস্য মেজবাউল হক মিঠু এবং জিয়াউর রহমান জিয়া।