তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►
২০২৫ সালের মার্চ মাসে যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া হবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারীবাসীর স্বপ্নের তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু। ইতোমধ্যে সেতুর ৯৫ ভাগ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকী কাজ শেষে সময়সূচি ঠিক করে উদ্বোধন করা হবে।
আজ (শনিবার, ৩০ নভেম্বর) সেতু পরিদর্শনে এসে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি পায়ে হেঁটে সেতুর বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল মালেক, কনসালটেন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল রহমান প্রামানিক, ঢাকা সদর দপ্তরের প্রকল্প পরিচালক গোলাম মওলা, গাইবান্ধা জেলার নিবার্হী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম, রংপুরের মো. মুসা, কুড়িগ্রামের মাসুদার রহমান, লালমনিরহাটের মো. কাওছার আলম, টিম লিডার লি হাই বিন, ডেপুটি টিম লিডার নিজামুল হক ভূইয়া, সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসনাইন মো. হেইকেল সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল মান্নাফসহ গাইবান্ধার সকল উপজেলার প্রকৌশলীগণ।
২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর ভিত্তি উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের পর ২০২১ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে সংযোগ সড়কসহ সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আ.ব.ম শরিওতুল্লাহ মাষ্টারের দাবি ২০২৪ সালে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলন শুরু করা হয়। ২০১২ সালে এসে তিস্তা সেতু নির্মাণ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। এরপর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল রহমান প্রামানিকের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১৪ সালে সেতু নির্মাণ কাজের সুচনা হয়।
দ্বিতীয়বারের মতো ২০২০ সালের ৬ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর- চিলমারি উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারি সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধীত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়।