• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২০-৫-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৫:৩৭

মঙ্গলবার গাইবান্ধার তিন উপজেলা পরিষদের ভোট

মঙ্গলবার গাইবান্ধার তিন উপজেলা পরিষদের ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার (২১ মে) গাইবান্ধার ৩টি উপজেলাসহ (সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ) দেশের ১৫৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 

তিন উপজেলার ৪১৮টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এই তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে মঙ্গলবার (২১ মে) ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া হবে। এছাড়া দুর্গম চরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জামাদির সাথে ব্যালট পেপারও নিয়ে যাবেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভোট-গ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। একটি পৌরসভা ও তেরটি ইউনিয়ন নিয়ে সদর উপজেলার ১৬৩টি কেন্দ্রের ৯৮২টি স্থায়ী এবং অস্থায়ী ৪৯টিসহ মোট ১ হাজার ৩১টি ভোটকক্ষে নির্বাচনের ভোট-গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন ১৬৩ জন প্রিসাইডিং, ১ হাজার ৩১ জন সহকারী প্রিসাইডিং এবং ২ হাজার ৬২ জন পোলিং অফিসার। এ উপজেলায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯০ হাজার ১৩৮ জন, নারী ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৫ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন। গাইবান্ধা সদরে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান ৮ জন এবং নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় মো. আব্দুল হামিদ মিয়া (আনারস), মো. আমিনুর জামান রিংকু (দোয়াত-কলম), মো. ইস্তেকুর রহমান (কাপ-পিরিচ), মো. নূর-এ-হাবীব টিটন (টেলিফোন), মো. মকদুবর রহমান সরকার (হেলিকপ্টার), মো. মাজেদুল ইসলাম রিবন (ঘোড়া) এবং শাহ্ আহসান হাবিব রাজিব (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মো. আব্দুর রাজ্জাক (উড়োজাহাজ), মো. আল-আমিন রুহুল (তালা), মো. নিজাম উদ্দিন খাঁন (মাইক), মো. মাহমুদুর রহমান (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মো. মিলন হোসেন (বই), মো. রফিকুল ইসলাম মিলন (চশমা), মো. শরিফুল ইসলাম সনজু (টিউবওয়েল) এবং সনজীবন কুমার দেব রকি (টিয়া পাখি) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোছা. তাসলিমা সুলতানা স্মৃতি (ফুটবল), মোছা. পারুল (বৈদ্যুতিক পাখা), মোছা. মোর্শেদা বেগম (পদ্ম ফুল), মোছা. রওশন আরা মুক্তি (সেলাই মেশিন), মোছা. শিল্পী খাতুন (প্রজাপতি) এবং মোছা. হাসিনা বেগম (কলস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়ন নিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার ৮৩টি কেন্দ্রের ৪৫৬টি স্থায়ী এবং অস্থায়ী ১১২টি সহ মোট ৫৬৮টি ভোটকক্ষে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন ৮৩ জন প্রিসাইডিং, ৫৬৮ জন সহকারী প্রিসাইডিং এবং ১ হাজার ১৩৬ জন পোলিং অফিসার। এ উপজেলায় ২ লাখ ২৩ হাজার ২০৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯ হাজার ২০৬ জন, নারী ১ লাখ ১৪ হাজার ২ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। পলাশবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পলাশবাড়ী উপজেলায় এ.কে.এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুত (মোটরসাইকেল), মো. জরিদুল হক (কাপ-পিরিচ), মো. তহিদুল আমিন মন্ডল সুমন (ঘোড়া), মো. তৌহিদুল ইসলাম (দোয়াত-কলম), মো. নাজিবুর রহমান (আনারস) এবং মো. শামিকুল ইসলাম সরকার (শালিক) প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে আবু রেজা মো. ফিরোজ কামাল চৌধুরী (চশমা), এ.এস.এম রফিকুল ইসলাম মন্ডল (টিউবওয়েল) এবং মো. আবু ফরহাদ মন্ডল (তালা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উম্মে কুলছুম (হাঁস), জে.এম হামিদা আক্তার চৌধুরী (সেলাই মেশিন), মোছা. আনোয়ারা বেগম (কলস) এবং মোছা. রিক্তা বেগম (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া একটি পৌরসভা ও সতেরটি ইউনিয়ন নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৭২টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৮৪টি ভোটকক্ষে নির্বাচনের ভোট-গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন ১৭২ জন প্রিসাইডিং, ১ হাজার ২৮৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং এবং ২ হাজার ৫৬৮ জন পোলিং অফিসার। এ উপজেলায় ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২০ হাজার ৫৭৯ জন, নারী ২ লাখ ২৫ হাজার ২২০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মো. আব্দুল লতিফ প্রধান (মোটরসাইকেল) এবং মো. শাকিল আকন্দ বুলবুল (আনারস) প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পাপন মিয়া (তালা), মো. আব্দুল মতিন মোল্লা (চশমা), মো. মাহাবুর রহমান (টিয়া পাখি), মো. মেসবাহ নাহিফুদ দৌলা (টিউবওয়েল) এবং মো. শরিফুল ইসলাম সরকার (মাইক) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উম্মে জাহান (প্রজাপতি), পাপিয়া রানী দাস (সেলাই মেশিন), ফাতেমা খাতুন (ফুটবল), মোছা. আফরুজা খাতুন (হাঁস), মোছা. মমতা বেগম (কলস), মোছা. সাকিলা বেগম (পদ্ম ফুল) এবং মোছা. সাথী আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সাথে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সকে দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য ৪৫ জন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি’র ৬ প্লাটুন সদস্য, র‌্যাবের ২টি করে মোট ৬টি টিমসহ প্রতি কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ ও ১৩ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বলেন, এরআগে ভোট-গ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রদান এবং তাদের সকল ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র পরিবহন ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সম্মানিত নাগরিকদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়