মাধুকর ডেস্ক►
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন ছিল বলে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা।
আজ (মঙ্গলবার, ১ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় তিনি দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।
আদালতে আনা হলে তিনি স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। তার সম্মতির প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করে বিএনপি। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, উল্লেখিত তিন নির্বাচনে গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়।
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আসামিরা এসব অপরাধ করেছেন।