নিজস্ব প্রতিবেদক►
কুমিল্লার মুরাদনগরে গৃহবধূকে ধর্ষণ এবং এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন হয়েছে।
আজ (সোমবার, ৩০ জুন) বেলা ১২টার দিকে শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এসময় বক্তারা বলেন, মুরাদনগরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে এক গৃহবধূকে যেভাবে নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করে প্রচার করা হয়েছে তা কোনো সভ্য সমাজে চলতে পারে না। নারীকে সমাজে নিকৃষ্টভাবে উপস্থাপন করে বাস্তবে মানবসভ্যতাকেই অপমান করা হয়েছে। একটা সমাজের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা কতটুকু ভঙ্গুর তা এই ঘটনায় বুঝা যায়।
একটি অপরাধের বিচার না হলে শত অপরাধ জন্ম নেয় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বিগত আওয়ামী আমলে তনু, খাদিজাসহ অসংখ্য নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাদের বিচার হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্ট–পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নারীদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরেও দেখলাম নারীরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নন। এই সরকারের আমলেও আছিয়া, লামিয়া এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনাসহ অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে নারীদের জন্য অনিরাপদ পরিবেশ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এসব ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাই।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি পরমানন্দ দাস, নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা সংগঠক মাসুদা আক্তার, ছাত্র ফ্রন্টের গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি কলি রানী বর্মন, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বসুনিয়া, সংগঠক জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।