মাধুকর ডেস্ক►
সংবাদভিত্তিক দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে গত বছরের ১৪ আগস্ট থেকে। টেলিভিশনটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ফিরে পেতে এই মামলাটি করেন সময় মিডিয়া লিমিটেডের লাইসেন্সধারী ও প্রায় ১৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক আহমেদ জোবায়ের।
মূলত সময় মিডিয়া লিমিটেডের ‘বি’ গ্রুপের পরিচালকরা ‘এ’ গ্রুপের অন্যতম পরিচালক আহমেদ জোবায়েরকে এমডি পদ থেকে অব্যাহতি দিলে এই মামলার সূত্রপাত ঘটে।
প্রথমে গত আগস্টে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরে ডিসেম্বরে আহমেদ জোবায়েরেকে পরিচালক পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়। এসব সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন আহমেদ জোবায়ের। এই অবস্থায় ১৪ই মে বুধবার বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সময় মিডিয়ার নেয়া একতরফা সিদ্ধান্তগুলোর ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন।
আহমেদ জোবায়েরের আইনজীবী জানান, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সময় মিডিয়া লিমিটেড একটি অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম) করে আহমেদ জোবায়েরকে পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করে। নিয়ম অনুযায়ী, ইজিএম করার বিষয়টি আহমেদ জোবায়েরসহ সব পরিচালককে তিন সপ্তাহ আগে জানাতে হবে। কিন্তু সময় কর্তৃপক্ষ সেটি না করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। তারা আদালতকে জানিয়েছে ইজিএম’র বিষয়টি আহমেদ জোবায়েরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি ইজিএম-এ হাজির হননি। ফলে তার অনুপস্থিতিতে অন্য পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডারদের সিদ্ধান্ত মতে আহমেদ জোবায়েরকে পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
আহমেদ জোবায়েরের আইনজীবীর দাবি, ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ইজিএম করলেও আহমেদ জোবায়েরের নামে চিঠি পাঠিয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে। আহমেদ জোবায়েরের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এই জালিয়াতির বিষয়টি তথ্য প্রমাণসহ আদালতের নজরে আনলে আদালত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের ইজিএম’র সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এছাড়া একই দিনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম’র সিদ্ধান্তের ওপরও স্থগিতাদেশ দেন আদালত।
এর ফলে পরিচালক পদে বহাল থাকবেন আহমেদ জোবায়ের। আইনজীবীরা জানান, এ আদেশে মূলত চিঠি জালিয়াতির কারণে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত এজিএম ও ইজিএম’র মাধ্যমে আনা সব সিদ্ধান্তই স্থগিত হলো। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে আহমেদ জোবায়ের-এর অপসারণকে চ্যালেঞ্জের ওপর শুনানিও পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে।
তথ্যসূত্র: যমুনা টিভি