মাধুকর ডেস্ক►
বহুল আলোচিত ছাগলকাণ্ডে জড়িত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে (প্রথম স্ত্রী) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিসি তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, মতিউর রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সবশেষ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ৬ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হলো ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, মতিউর রহমান ও লায়লা কানিজ ছাড়াও তাদের ছেলে-মেয়ের নামেও অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও এ দম্পতিকে কোন মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ডিএমপির উপকমিশনার।
২০২৪ সালের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় সংস্থাটি। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দ করা হয়।
পরে ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এরপর গত ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন।
গত বছর কোরবানির জন্য ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ইফাত নামের এক তরুণের ১৫ লাখ টাকা দামে ছাগল কেনার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে মতিউর রহমানকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। তার আগে ছাগল কিনতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ইফাত। ধানমন্ডির বাসায় ঈদের দিন ছাগলটি কোরবানি দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তখন ছাগলসহ ইফাতের ছবি জুড়ে দিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন- ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কেনার অর্থের উৎস কী?