নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী বন্দর ও ফসলি জমি ধ্বংস করে বালুমহালের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে বাতিল করাসহ চার দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
কামারজানি বন্দর, বসতভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় বালুমহাল প্রতিরোধ কমিটি আজ (রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদের কাছে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কামারজানি বন্দর গাইবান্ধা জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়িক বন্দর। ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় এই বন্দরটি দীর্ঘ পরিক্রমায় গড়ে উঠেছে। এখানকার হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থান, গোডাউন, হেলথ সেন্টার, তহসিল অফিস, ব্যাংক, ইউপি অফিস, আশ্রায়ণ প্রকল্পসহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে জেলা শহরের সাথে খুব নিবিড় সম্পর্ক। বন্দরের পূর্বপাশে জেগে উঠেছে বিশাল চর। শত শত একর জমিতে গড়ে উঠেছে অনেক পরিণত গ্রাম ও ফসলি জমি। জমিতে প্রচুর ফসল উৎপাদিত হয় যা অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু গত সরকারের আমলে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল প্রায় ২শ একর জমিতে বালুমহাল করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে বালুমহাল কার্যক্রমের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বালুমহালটি কার্যকর হলে কামারজানি বন্দর, অসংখ্য বসতবাড়ি, শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হবে, এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে। স্মারকলিপিতে নদী ভাঙন ও বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক মো. ইকবাল হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল আরজু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র আহসানুল হাবীব সাঈদ, কমিউনিস্ট পার্টির এমদাদুল হক মিলন প্রমুখ।