Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৫-১২-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:১৯
  • ৪৭ বার দেখা হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে সোয়া ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এডিপির ৯২ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন

সুন্দরগঞ্জে সোয়া ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এডিপির ৯২ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন

তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের এডিপির ৯২টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয়- হয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৬২টি প্রকল্প টেন্ডার এবং ৩০টি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি কাজ করেছে। মোট বরাদ্দের ৩০ ভাগ পিআইসি, ৩ ভাগ নারী উন্নয়ন ফোরাম এবং ৬৭ ভাগ টেন্ডারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে। এডিপির অর্থ বড় বড় এবং দৃশ্যমান প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়নের দাবি অভিজ্ঞ সচেতন মহলের।

জানা গেছে, বিগত অর্থ বছরের ন্যয় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে উপজেলা ও ইউনিয়নয় পরিষদের দাখিলকৃত প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে টেন্ডার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে প্রকল্প সমুহের কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার এডিপির প্রকল্প বাস্তবায়নের আয়ন-বায়ন কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কারিগরি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রকল্প সমুহের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ছোট ছোট সিসি রাস্তা, স্প্রে মেশিন, সেলাই মেশিন, স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড, খেলার সামগ্রী, প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারি ওয়াল, উপজেলা পরিষদের হলরুম, ডরমেটরি, আবাসিক কোয়াটার, পুরাতন ভবন মেরামত ও সংস্কার প্রকল্প। 

তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এডিপির অর্থায়নে তার ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে টেন্ডারে সিসি রাস্তা, স্প্রে মেশিন, নাচনী ঘগোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ হয়েছে। তবে প্রকল্প সমুহ ছোট ছোট হওয়ায় দৃশ্যমান হয়নি। কাজের মান অন্যান্য অর্থ বছরের চেয়ে ভাল হয়েছে। তার দাবি দৃশ্যমান প্রকল্পে এডিপির অর্থ  ব্যয় করলে জবাবদিহিতা থাকবে না।

ছাপড়হাটী ইউনিয়নের কৃষক ওবাইদুল্লাহ খান বলেন, এডিপির বরাদ হতে তিনি একটি স্প্রে মেশিন পেয়েছেন। তা দিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রকার ফসলের ক্ষেতে বালাইনাশক স্প্রে করছেন। আরও বেশ কয়েকজন কৃষক স্প্রে মেশিন পেয়েছেন। 

শান্তিরাম ইউনিয়নের পরান মৌজার সিসি রাস্তা নির্মানের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্লান স্টিমেট মোতাবেক রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর উপ-সহকারি প্রকৌশলী তদারকি করার পর বিল প্রদান করেছেন। কাজের মান ভাল হয়েছে।

উপজেলার সমাজসেবা অফিসার মো. রফিকুজ্জামান খান বলেন, এডিপির বরাদ্দ হতে তাঁর কার্যালয়সহ বেশ কয়েটি দপ্তর সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে। কাজের মান ভাল হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা ডরমেটরিরটি ব্যবহারের অযোগ্য ছিল। দীর্ঘদিন পর সেটি এডিপির বরাদ্দ হতে সংস্কার করে ব্যবহার যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়েছে। 

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. সুমী কায়ছার বলেন, এডিপির বরাদ্দ হতে উপজেলার ১৬টি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কিশোরীদের মাঝে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড বিতরণ করা হয়েছে।

সাবেক উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন , উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দেয়া প্রকল্প সমুহ টেন্ডার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে এডিপির ৯২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ দেখে চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। 

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নাফ বলেন, এডিপির প্রকল্প বাস্তবায়নের আয়ন-বায়ন কর্মকতা হচ্ছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নিবার্হী অফিসার। উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কারিগরি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি ইউনিয়নের প্রকল্প সমুহ উপ-সহকারি প্রকৌশলীগণ তদারকি করে মাষ্টাররোলসহ সঠিক বিল ভাউচার প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিল প্রদান করা হয়েছে। এখানে গড়িমষি করার কোন সুযোগ নেই। এডিপির অর্থ দিয়ে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে অনেক ইউনিয়ন পরিষদ বাদ পড়ে যাবে। সে কারনে ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। তবে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ৯২টি প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে। কাজের মান অত্যন্ত ভাল হয়েছে। 

বর্তমান উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. নাজির হোসেন বলেন, তিনি যোগদানের পূবেই ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের এডিপির কাজ শেষ হয়েছে। তার ভাষ্য উপজেলা পরিষদে যেসব কাজ হয়েছে, তা ভাল হয়েছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad