Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৪ ঘন্টা আগে
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যার ১০ বছর পর মামলা

সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যার ১০ বছর পর মামলা

তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম (৩৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ১০ বছর পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

শাহাবুলের ছোটভাই এস এম শাহাজান বাদী হয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে আওয়ামী লীগের ৭৯ জন নেতাকর্মীর নামসহ আরও  ৪০ থেকে ৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে মামলা করেন।

মামলায় প্রয়াত সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি খুরশীদ জাহান স্মৃতিকে ১ নং আসামি করা হয়েছে। শাহাবুল উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের শেখ খিজির উদ্দিনের ছেলে।

পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায় জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম ও প্রতিবেশি মিজানুর রহমান। এ সময় ভোট কেন্দ্রের বাইরে কিছু সংখ্যক দুর্বৃত্ত শাহাবুল ও মিজানুরকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে তাদেরকে মারপিঠ শুরু করে।

প্রাণভয়ে শাহাবুল ও মিজানুর ভোটকেন্দ্র হতে পালানোর চেষ্টা করলে এজাহার নামিও আসামিগণ এবং দুর্বৃত্তরা উভয়কে ছুরি দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে কতর্বরত চিকিৎসক শাহাবুলকে মৃত্যু ঘোষনা করে এবং মিজানুরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেই সময় পরিবারের লোকজন মামলা করার চেষ্টা চালিয়ে দলীয় প্রভাবের কারণে ব্যর্থ হন।

মামলার বাদী এস এম শাহজাহান  জানান, ঘটনার সময় আওয়ামীলীগের প্রভাবের কারনে ও প্রাণনাশের ভয়ে আদালতে এবং থানায় মামলা করতে পারি নাই। সে কারণে ১০ বছর পর দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় বড় ভাইয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি মামলাটি করা হয়েছে। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে ন্যায় বিচার দাবি করছেন।

উপজেলা জামায়াতের আমির মো. শহিদুল ইসলাম মঞ্জু জানান, মামলা করার বিষয়টি ভূক্তভোগি পরিবারের একান্ত সিদ্ধান্ত। তবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবাটি যেন ন্যায় বিচার পান সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. সেলিম রেজা জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক মামলার এজাহারটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ৭৯ জন আসামির নাম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া ৪০ হতে ৫০ অজ্ঞতানাম আসামি রয়েছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধিকে আইনের আওতায় সোপর্দ করা হবে। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আশাদুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করবেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ওই নিবার্চনে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ৩১ ডিসেম্বর উপজেলার উত্তর সাহাবাজ গ্রামের নিজবাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সাংসদ লিটন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।       

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad