নিজস্ব প্রতিবেদক►
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ৬ পরিবারের সদস্যদের সাথে আজ (সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর) শহরের হোটেল আর রহমানের মিলনায়তনে সাক্ষাত ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা আমীর মো. আব্দুল করিম। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় ইউনিট সদস্য ও জেলা আমীর ডা. আব্দুর রহিম সরকার।
জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকারের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ আব্দুস সালেক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা সাইদুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি নুরুন্নবী প্রধান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মো. ফয়সাল কবির, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি ওমর সানি আকন্দ, জেলা সেক্রেটারী ফেরদৌস সরকার রুম্মান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি গোলাম পরওয়ার বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত এ দেশকে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে যারা মুক্ত করেছে সেই সকল শহীদদের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ। আমরা সর্ববস্থায় সেই সকল শহীদ পরিবারের পাশে আছি। আজ এ দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে এ দেশকে নতুন করে গড়তে হবে। যারা শহীদ হয়েছেন তারা আমাদের নিকট জাতীয় বীর। শহীদ পরিবারের স্বজনদের চোখের পানি ইতিহাস হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ সেই ইতিহাসে ফ্যাসিবাদের পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস পড়বে।
তিনি আরও বলেন, যারা গুলি চালিয়ে আমার দেশের ছাত্রকে হত্যা করে লাশে আগুন ধরিয়ে দেয় তাদের বিচার করতেই হবে। আমরা এই নির্মম, নৃসংশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করে গণহত্যা চালিয়েছে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে, গুম করেছে দেশের মানুষ তাদের কোনদিন ফ্যাসিবাদের ফিরে আসতে দেবে না। হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দেয়ার জন্য তারা অনেক চেষ্টা করেছে। অথচ তাদের দ্বারাই সবচেয়ে বেশী হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমাদের সকলকে একযোগে নতুন অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে হবে। ওরা আমাদের কথা বলার অধিকার কেঁড়ে নিয়েছিলো আমাদের ভোটাধিকার কেঁড়ে নিয়েছিলো। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আমাদের কাজ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বিগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে কেবলমাত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ছাড়া সবাই অংশগ্রহন করেছিলো। ছাত্ররা এদেশের মানুষকে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে উদ্ধার করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমাদের দূর্নীতিমুক্ত ২ জন মন্ত্রী সহ মোট ৭ জন নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে। সারাদেশে জামায়াতের ৪০০ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই জালিম সরকার হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ৪ বছরের শিশুকে হত্যা করেছে। অবশ্যই এদের বিচার করতে হবে।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৬টি পরিবারকে ১ লাখ করে নগদ ৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। উল্লেখ্য. এর আগেও ওই ৬টি পরিবারকে নগদ ৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।