আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ ►
আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলায় নওগাঁয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে আসামী বকুল হোসেন এর ৭বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একই সঙ্গে ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার মামলার রায় প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মেহেদী হাসান তালুকদার।
রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আসামি বকুল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বকুল হোসেন জেলার বদলগাছী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মকবুল হোসেন এর ছেলে। রাষ্ট্রপে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারি সরকারি কৌঁসুলী অ্যাডভোকেট মো. মকবুল হোসেন এবং এবং আসামিপে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নিহত নাজমা আক্তার কলেজে আসা-যাওয়ার পথে একই গ্রামের বকুল হোসেন উত্ত্যক্ত করাসহ প্রেমের প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি নিয়ে নাজমা আক্তার এর বাবা তাদের পরিবারকে একাধিকার অবগত করাসহ বিরক্ত না করার জন্য অনুরোধ করে।
গত ২০০৭ সালের ৭ জুন বিকেলে নাজমা আক্তার বাড়ির পাশে গাছের নিচে পড়ে থাকা আম নিতে গেলে তাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করা সহ মুখে চুমু দেয় বকুল। নাজমা বাড়ি এসে তার বাবাকে জানায় এবং বিচার দাবী করে। বিচার না পেয়ে ক্ষোভে ঘটনার তিনদিন পর ১০ জুন বিষ পান করে আত্মহত্যা করে নাজমা আক্তার।
ঘটনার পর নিহতের ভাই আমেদুল ইসলাম বাদী হয়ে বকুল হোসেনকে প্রধান আসামী করে চারজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা বকুল হোসেন ছাড়া বাঁকী তিন আসামীর কোন সম্পৃক্ততা না পাওয়ার আদালতের প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পরবর্তীতে বাদী ২০০৮ সালের ২৫ জুন নারাজী দরখাস্ত দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামী বকুল হোসেন কে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। বাঁকী তিন আসামী কোন সম্পৃক্তা না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে।