নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে তাবলিগ জামাতের জুবায়েরপন্থীরা। সেইসঙ্গে এ দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এবং দাওয়াত ও তাবলীগ-এর সাথীবৃন্দ, গাইবান্ধা জেলা’র ব্যানারে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শহরের বড় মসজিদ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে জুবায়েরপন্থী মুসল্লিরা অংশ নেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। পরে আবারও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় তারা। পরে সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সড়কের একপাশ দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘণ্টাব্যাপী তীব্র যানজটে পড়ে গোটা শহর।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বুধবার ভোরে সাদপন্থীরা আমাদের ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়ে ৪ সাথীকে হত্যা করেছে। এছাড়া আমাদের আরও অসংখ্য সাথী আহত হয়েছে। আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছি।
সাদপন্থীরা বাংলাদেশবিরোধী শক্তির সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, সাদপন্থীরা ভারতের ইশারায় এ দেশের আলেম সমাজের এবাদত নষ্ট করার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। আমরা এর পরিসমাপ্তি চাই।
এ ঘটনায় জড়িতদের কাকরাইল এবং ইজতেমা ময়দানসহ সারাদেশে তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি ও গাইবান্ধা জেলা মারকাজ ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জেলা আমির মাওলানা আব্দুল বাসেদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মানসুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইদ্রিস, ইমাম-ওলামা পরিষদের জেলা সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি এম এ মাজেদ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আল আমিন প্রমুখ।
শেষে ইজতেমা ময়দানে হামলায় নিহতদের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
এর আগে, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়। এতে আহত হয় অর্ধশতাধিক মুসল্লি।