Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৭-৩-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৪:১৯

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় পিআইওসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় পিআইওসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী ►

নীলফামারীর ডিমলায় সাংবাদিককে নির্যাতন ও লাঞ্চিত করার ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিক্ষকপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় সাংবাদিকের ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়। আহত সাংবাদিক নুর মোহম্মাদ সুমন দৈনিক শিরোমণি পত্রিকার নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি। বিভিন্ন জনের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত সাংবাদিক বলেন, গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিক্ষকপাড়া এলাকায় সেতুর (গাটার ব্রীজ) সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। ওই সেতুর নিচ হতে নদী থেকে অবৈধভাবে সাব-ঠিকাদার নয়ন ইসলামের নেতৃত্বে চালককে দিয়ে স্কেভেটর মেশিনে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে।

আমি এ তথ্য জেনে ২৬ মার্চ বিকেল ৫টায় নির্মানাধীন ব্রীজের কাছে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাই। সেখানে খবরের সত্যতা পেয়ে আমার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলি। এসময় সায়েদ আলী, সামসুদ্দিন, নয়ন, মুনছুর আলী, মেজর, আইনুল হক, মিজানুর রহমান, উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান সংঘবদ্ধ ভাবে আমাকে আটক করে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়।

প্রতিবাদ করলে তারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ঠিকাদারের কেয়ার-টেকার গোলাম রব্বানী বলেন সাংবাদিককে মারি লাশ বানাও, এমন হুকুম পাওয়া মাত্র অভিযুক্ত ব্যক্তিরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করে।

থানার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ডিমলা উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান ও সাব ঠিকাদার আবারও হুমকি প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমি যেন আইনি সহায়তা বা সংবাদ পরিবেশনা না করি। যদি করি তাহলে হাত-পা ভেঙ্গে দিবে বা মেরে লাশ গুম করবে বা যে কোনো ধরণের অঘটন ঘটিয়ে অপূরনীয় ক্ষতিসাধন করবে।

এঘটনায় ঠিকাদারের কেয়ার-টেকার গোলাম রব্বানী কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমাদের ইউএনও, পিআইও অনুমোদন দিছে আমরা বালু তুলতেছি। আমরা স্কেভেটর দিয়ে বালু তুলে রাস্তার (সংযোগ সড়ক) কাজ করতেছি এমন সময় উনি এসে ছবি তোলেন। বাধা প্রদান করলে তিনি তবুও ছবি তোলেন। এজন্য আমাদের সাথে ওনার হাতাহাতি হয়েছে। আপনারা এসেছেন ওকে নিয়ে যান।

এবিষয়ে ডিমলা উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, চাঁদা চাইতে গেলে তো মাইর খাবেই এটাই স্বাভাবিক।

ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমান জানান, সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad