দিনাজপুর প্রতিনিধি►
দিনাজপুরে ইট ভাটার জন্য জমি কিনতে না পারায় একাইটিস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালককে আশরাফুল ইসলামসহ ৭/৮জনকে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হেনস্থ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার (৭ আগস্ট) সরেজমিন ঘুরে গিয়ে দেখা গেছে, দিনাজপুর সদরের শঙ্করপুর ইউনিয়নের বড়াইপুর মোল্লাপাড়ায় রাস্তা সংলগ্ন একাইটিস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ক্যাম্পাসের জন্য ক্রয়কৃত জমির বাউন্ডারি ওয়ালসহ মাঠ প্রস্তুতির কাজ চলছে।
একাইটিস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের একটি সাইনবোর্ড লক্ষ্য করা যায়। এই জমিটি গত ২০২০ সালে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার আমবাড়ীতে অবস্থিত একাইডিস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম নতুন ক্যাম্পাসের জন্য প্রায় ২ একর জমি ক্রয় করেন।
এই এলাকায় একাইটিস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হওয়ার কথা শুনে এলাকার মানুষের চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই এলাকায় গড়ে ওঠার জন্য সাধুবাদ জানান।
এই নতুন ক্যাম্পাসের সংলগ্নই মেসার্স মা ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। কয়েক বছর ধরে মানুষের ধার দেনা ও ঋনে জর্জরিত হওয়ার কারণে ইটভাটাটি বন্ধ রয়েছে। তবে ইট ভাটার মালিক সোলেয়মান সরকার ইটভাটার ঠিক সামনের এই জায়গাটি আশরাফুল আলমের নিকট থেকে ক্রয় করার জন্য বিভিন্নভাবে ফন্দি ফিকের করেও যখন জমিটি ক্রয় করতে পারেননি । তখনই চুরি এবং মারামারির মিথ্যা মামলা নাটক সাজিয়েছে বলে আশরাফুল ইসলাম মাষ্টার দাবি করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই মামলার বাদী সাজিবুর রহমান আকাশ বাদি হয়ে গত ১৮ জুন দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করেন যে এই একাইটিস রেসিডেনিাসয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম তার বাড়ি তে আরও ছয় সাত জন একত্রিত হয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করেছেন এবং বাড়িতে থাকা স্বর্ণ ও টাকা চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন।
মামলার বাদি সজিবুর রহমান আকাশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চুরি হওয়ার ঘটনা এবং তার উপরে মারধরের ঘটনাটি ঘটনা ঘটলেও তিনি প্রকৃতপক্ষে কাউকে চিনতে পারেননি এবং এই মামলার বিষয়ে তেমন কিছু জানে না তার বাবা জানে বলে । কথা না বাড়িয়ে আমি অসুস্থ বলে তাড়াতাড়ি করে বাড়ীতে চলে যায় ।
এই মামলার স্থানীয় যাদেরকে সাক্ষী করা হয়েছে তাদের সাথেও কথা বলে জানা গেছে । মামলায় সাক্ষীরা আসলে এই ঘটনার সাথে অবগত নন । পুলিশ ঘটনা স্থলে আসার পর পুলিশের নিকট জানতে পারি আমরা এই মামলার সাক্ষী । আশরাফুল ইসলাম বলেন, একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা আমার বিরুদ্ধে দায়ের করেছে । আমার এই নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয় করার পর থেকেই সোলায়মান সরকার হয়রানী করার চেষ্ঠা করে আসছে । আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষিত প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষক চাকুরী করেন । আম আমি তার বাড়ী চুরি করতে যাব । এটা তো পাগলেও তো বিশ্বাস করবে না ।
দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন জানান, এই মামলার ধরন দেখে বুঝা যায় যে, এটি একটি সাজানো মামলা । এই ধরনের মামলা পুলিশ প্রকৃত তদন্ত করে সত্য ঘটনা উদঘাটন করে চার্জশিট প্রদান করা হবে। প্রকৃত ঘটনা না ঘটলে অবশ্যই এই মামলার বাদী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।