এস এম রাফি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ►
দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছেন কুড়িগ্রামরে চিলমারীর খেটে খাওয়া দিনমজুররা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে তাদের বালুচরের কমদামের দোকানই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এসব দোকানেও প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে কিছুটা। তারপরও খেটে খাওয়া মানুষের স্বস্তির বাজার হয়ে আশা জাগিয়েছে এসব কমদামের দোকান গুলো। সীমিত লাভে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়। সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার বসে এ হাট। এখানে বিশেষ করে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুররাই পোষাক কিনছেন কমদামের দোকান থেকে।
চরশাখাহাতী থেকেু বালুচরে বসে থাকা দোকানে কাপড় কিনতে আশা তারা বেগম বলেন, ‘ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে এসেছি। নতুন কাপড় কিনে দিতে। আমরা তো বড় বড় দোকান থেকে কাপড় কিনতে পারি না। আমরা এখানে যে পোষাক কিনি ১শ থেকে ২শ টাকা আর বড় সব দোকানে গেলে দাম আরও বেশি দিয়ে নিতে হয়। যা আমাদের পে সম্বভ না। এসব দোকানে যদিও কাপড়ের মান একটু কম তারপরেও এসবই আমাদের ভরসা।’
চরগুজিমারী থেকে ছক্কু মিয়া এই হাটে এসেছে বাজার করতে । তিনি কমদামী এই সব দোকানে গিয়ে একটি গামছা কিনলেন ৫০টাকা দিয়ে। অথচ এই গামছা টি থানাহাট বাজারের কোন এক দোকানে নিলে ৭০ থেকে ৮০টাকা গুনতে হতো। তাই বালু চরের এই কাপড়ের দোকানই আমাদের ভরসা।
উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজারের সামনে বিশাল বালুচরে সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার বসে এই হাট । এখানে অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, চিলমারী ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক চরের মানুষ আসেন বাজারে কেনা বেচা করতে। সাশ্রয়ী মূল্যে কেনা বেচা করেন চরাঞ্চলের বিভিন্ন মৌসুমের ফসল। শতবর্ষী এই হাটটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে বেশ সহযোগীতা করে। এই হাটে শুধু এ উপজেলা ব্যতিত প্বার্শবর্তি বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষও আসেন পণ্য কেনা বেচা করতে।
সরেজমিনে দিনব্যাপী রবিবার এ হাট ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে বিস্তৃর্ন চরের বিশাল এক হাট বসে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই হাটে। খোলা বাজারের কমদামের কাপড়ের দোকানের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাচ্চাদের ছোট প্যান্ট ২০ টাকা, বড় প্যান্ট ২৫ থেকে ৩০টাকা। টি-শার্ট ২০ থেকে ৪০টাকা প্রতি পিচ। লুঙ্গি ৩শ থেকে ৫শ টাকা, গামছা বিক্রি হচ্ছে ৫০/১০০টাকা।
উলিপর থেকে আসা কাপড় ব্যবসায়ী সাইফুল রহমান বলেন, তিনি প্রতি হাটে এখানে কাপড়ের দোকান দেন। প্রতি হাটে প্রায় ১ থেকে ২হাজার টাকা বিক্রি হয়। এখানে বেশির ভাগ ক্রেতা চর অঞ্চলের মানুষ। সীমিত লাভে এখানে কাপড় বিক্রি করেন জোড়গাছ ভট্টপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল করিম । তিনি জানান, বড় বড় সব দোকানের তুলনায় এখানে কম দামে কাপড় বিক্রি করি। সপ্তাহে দুই দিন এই হাটে কাপড় কেনা বেচা হয়। অনেকেই আসেন চর থেকে তাদেও কাছে আমরা সীমিত লাভে কাপড় বিক্রি করি।