Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৪-১০-২০২২, সময়ঃ দুপুর ১২:৩৫

অতিথি পাখি নিধন চলছে অবাধে

অতিথি পাখি নিধন চলছে অবাধে

দারিয়াপুর সংবাদদাতা ►

প্রতি বছরের মতো শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধার দারিয়াপুর অঞ্চল এর আশপাশে বিভিন্ন বিল-অঞ্চলে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছে দেশি ও অতিথি পাখি। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে বিল ও তার আশপাশের এলাকাগুলো। এ সুযোগে সৌখিন ও পেশাদার পাখি শিকারিরা বন্দুক, বিষটোপ, জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে এসব পাখি নিধন শুরু করছে।

পাখি শিকার করা আইনত নিষিদ্ধ হলেও এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বন বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৭৪ সালে বন্য প্রাণি রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্য প্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে দণ্ডের বিধান রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত।

একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ আইনের কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ অতিথি পাখির আগমনের কারণেই স্থানীয় শিকারীরা মাঠে নেমে মেতে উঠেছে পাখি নিধনের মহোৎসবে।

শীত মৌসুমে হাজার হাজার পাখির কলকাকলীতে এ অঞ্চলের ছোট ছোট বিল-ঝিলগুলো মুখরিত হয়ে উঠে। পাখির কিচির মিচির শব্দে আনন্দঘন পরিবেশকে করে তোলে আরও প্রাণবান্ধব। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অসংখ্য অতিথি পাখি আমাদের দেশে আসে। আবার শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে গেলে তারা পূর্বের স্থানে ফিরে যায়। এদের মধ্যে বালি হাঁস, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালী কাস্তে চাড়া, পাতাড়ি হাঁস, কাঁদা খোচা, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া অন্যতম।

বর্ষার পানি নেমে যাওয়ায় বিলাঞ্চলে শত শত সাদা বক ও পানকৌড়ি এখানে আশ্রয় নিয়েছে। কিছু মানুষ লাঠি হাতে পাখিগুলোকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। আর তাড়া খেয়ে জালে ও ফাঁদে পড়লে পাখিগুলোকে খাঁচায় আটকানো হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad