• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৬-১-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:২৮
  • ৯১ বার দেখা হয়েছে

ভূট্টায় ভরে উঠেছে তিস্তার চরাঞ্চল

ভূট্টায় ভরে উঠেছে তিস্তার চরাঞ্চল

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►

দিন যতই যাচ্ছে ততই ভূট্টার চাষাবাদ বেড়েই চলছে। অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা এখন ভূট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিশেষ করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বালুচর ভরে উঠেছে ভূট্টাক্ষেতে। বিভিন্ন প্রকার খাদ্য তৈরিতে উপকরণ হিসেবে ভূট্টা ব্যবহার করায় দিন দিন ভূট্টার চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভূট্টার চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলার ১ হাজার ৮০০ জন কৃষককে ভূট্টার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। ভূট্টার হিংসভাগ চাষাবাদ হয়েছে চরাঞ্চলে ।

উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গার চরের ফরিদুল হক জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৫ বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছে। প্রতিবিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ৫ হতে ৬ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে এক বিঘা জমিতে ৪০ হতে ৪৫ মন ভূট্টা পাওয়া যাবে। প্রতিমন ভূট্টা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ হতে ১ হাজার টাকা দরে। তিনি বলেন ফলন ভাল হলে এক বিঘা জমিতে খরচ বাদ দিয়ে ৩০ হাজার টাকা লাভ হবে। অনন্যা ফসলের চেয়ে ভূট্টা চাষাবাদে খরচ অনেক কম। সে কারনে এখন অনেকে ভূট্টা চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
উপজেলার ভূট্টা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, ভূট্টার বাজার দর দিন দিন বাড়ছে। গত বছর ৮০০ হতে ১ হাজার টাকা দরে প্রতিমন ভূট্টা কেণা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে চলতি মৌসুমে ভূট্টার দাম আরও বৃদ্ধি পাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল করিম জানান, প্রতি বছর ভূট্টা চাষাবাদের পরিমান বেড়েই চলছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চল ভূট্টা চাষাবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগি। চরের কৃষকরা অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় ভূট্টা চাষাবাদে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিস্তা চরাঞ্চলের মাটি খুবেই উরর্বর । সে কারনে চরে ভূট্টার ফলন ভাল হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়