নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ, সোনাতলা ►
বগুড়া জেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মৃৎশিল্পীদের বাস।এদের মধ্যে সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া পালপাড়ায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মৃৎশিল্পী মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
এখানকার তৈরি মৃৎশিল্পের মনকাড়া পণ্যগুলো একসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে জায়গা করে নিয়েছিল । কিন্তু কালের বিবর্তনে এ শিল্প আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। দইয়ের সরাই আর মাটির পাট তৈরিতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে সোনাতলার মৃৎশিল্পীদের কাজ।
পূর্বপুরুষদের এ পেশাটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত চলছে মৃৎশিল্পীদের জীবন সংগ্রাম। মাটির পাট, রিং দইয়ের সরাই তৈরি করে সংসারের হাল ধরে রেখেছেন গ্রামীণ নারীরা । কিন্তু মৃৎশিল্পকে ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে কারিগরদের। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে স্বল্প কিংবা বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এ পেশার সঙ্গে জড়িত মৃৎশিল্পীরা।
বামুনিয়া পালপাড়া গ্রামের গনেশ পাল বলেন, মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা কমেছে বলে গ্রামের নারীরা এখন দইয়ের সরাই ও পাট তৈরি করে রোজগার করছেন। দইয়ের সরাই ও পাট তৈরি ছাড়া আমাদের আর তেমন কোনো কাজ নেই। কাজের পরিধি কমে এলও সরকারিভাবে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হলে বাপ-দাদার পেশাটাকে টিকিয়ে রাখা যেতো।