Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৯-৬-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:৫৪
  • ৪৮ বার দেখা হয়েছে

তিস্তা-দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা

তিস্তা-দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা

মাধুকর ডেস্ক ►

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে অপর দুই প্রধান নদী ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে তা বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

এদিকে আগামী ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়ে জেলায় একটি স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)র বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

আজ বুধবার সকাল ৯টায় পাউবোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এরইমধ্যে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২২ সেন্টিনিটার এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ ও ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার একেবারে কাছাকাছি রয়েছে প্রবাহিত হচ্ছে।

দুধকুমার ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার রাজারহাট ও নাগেশ্বরী উপজেলার ১২টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বাড়তে থাকায় সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের সবজি তে তলিয়ে গেছে এবং চিলমারীর কয়েকটি পয়েন্টে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার ভিতরে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এতে করে স্বল্পমেয়াদী মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, জেলায় প্রাথমিকভাবে বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে ১৭ লাখ টাকা ও ১৮০ মেট্রিক টন জিআর চাল মজুদ আছে। উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য বেশকিছু নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad