মাধুকর ডেস্ক►
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ (সোমবার, ৬ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনা ছাড়াও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়াদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।
এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জানান, বিগত ১৫ বছরে গুম ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষকে সাদা পোশাকে কিংবা পোশাকধারী বিভিন্ন বাহিনী এসে তুলে নিয়ে যেত। এরপর তারা আর কোনোদিন ফিরে আসতো না, অধিকাংশই ফিরে আসেনি। কেউ কেউ ফিরে আসলেও তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। আর কেউ স্বৈরশাসনের অবসানের পর ‘আয়নাঘর’ থেকে ফিরে এসেছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারত পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তখন থেকে তিনি ভারতেই আছেন। বাংলাদেশ তাকে ফেরত চেয়ে আবেদন জানালেও এ বিষয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত।
গত শনিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ওনাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানো নিয়ে ভারতের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও আমরা পাইনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফেরত আনবে সরকার।
নভেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছিলেন, পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।