জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা►
বারান্দা ঘেষে বিদ্যালয়ের সামনে দেয়াল নির্মাণ মাঠ দখল করে সবজি চাষ করা হচ্ছে। দেখে মনে হয় বিদ্যালয় ভবনটি যেন কোনো জেলখানা। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলাধীন কামালেরপাড়া ইউনিয়নের আগগরগড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির এমন অবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ তো দুরের কথা বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে সামনে দাঁড়ানোর মতো একচিলতে জায়গাও নেই। বিদ্যালয়ের শিশুক্ষিার্থীদের থাকতে হয় জেলখানার বন্দীদের মতো। ফলে ওই বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ও সুস্থ্যশরীর গঠনে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে।
উপজেলার আগ-গড়গড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের বারান্দা ঘেষে দেয়াল নির্মাণ করে বিদ্যালয় মাঠ দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি দখল করে নেয়া বিদ্যালয় মাঠে বেড়া দিয়ে শাকসবজির চাষ করছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের দুটি গেট করার কথা থাকলেও এক কোনে একটি মাত্র গেট রয়েছে ভবনের। স্থানীয়দের অভিযোগ ভবন নির্মাণের সময় ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির বাঁধার কারণে ভবনটির একটি গেট করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বর্তমান সভাপতি ওসমান গণি মাঠটি ভোগদখল করছেন।
ফলে ভবনটি একটি জেলখানার মতো বন্দী শালা হয়ে গেছে। এদিকে বিদ্যালয় মাঠ দখলে নেয়ার কারণে মাঠ সংকটে শিশু শিক্ষার্থদের জাতীয় সংগীত, শরীর চর্চা ও খেলাধুলা হয় না। ফলে এ বিদ্যালয়ের শিশুদের মেধাবিকাশ ও সুস্থ্য শরীর গঠনে মারাত্মক বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে । অভিভাবকদের অভিভাবকদের অভিযোগ মাঠটি ভোগদখলকারী ব্যক্তি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে অবসরে গেলে তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতিও ছিলেন সেই সুবাদে তিনি মাঠ দখল করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা দরুণ শিশুদের খেলার মাঠ প্রভাবশালীদের দখলে। শিশুদের মেধাবিকাশ ও সুস্থ্য সবল শরীর গঠনের স্বার্থে বিদ্যালয় মাঠ উদ্ধার করা জরুরী। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান জানান, আমি কয়েক মাস আগেই এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের অনেক আগে থেকেই তারা মাঠ ভোগদখল করছেন। ওসমান গণির সঙ্গে বিদ্যালয় মাঠ দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্কুলের সামনের জায়গা তার নিজের দাবি করে বলেন, স্কুলের জায়গা মোট ৫২ শতক, যা ভবনের পাশে রাস্তার উত্তর পাশে অন্যরা দখল করে আছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিস সাফি বলেন, আগ-গড়গড়িয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের খেলাধুলার মাঠ না থাকার বিষয়টি তাঁর জানা ছিলো না । এই প্রথম জানলেন এখন খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলেন তিনি জানান।