সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি►
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের নদী ভাঙন এবং বন্যা কবলিত পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের এক পর আজ (সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বানভাসিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
দেরিতে হলেও ত্রাণের চাল পেয়ে খুশি বানভাসি পরিবারগুলো।
জানা গেছে, কাপাসিয়া ইউনিয়নের বানভাসি পরিবারদের মাঝে বিতরণের জন্য আগষ্ট মাসের পহেলা সপ্তাহে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তিন টন জিআর ( সাধারন সহায়তা) এর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। সে মোতাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনজু মিয়া ওই চাল উত্তোলন করে তাৎক্ষনিক ভাবে বিতরণ না করে কছিম বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী গোডাউনে না রেখে পাশ্ববর্তী জাহাঙ্গীর মিয়ার ঘরে রেখে দেয়।
এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে আওয়ামীলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান গাঁ ঢাকা দেন। চেয়ারম্যান ওই চাল আত্নসাতের পায়তারা করছেন মর্মে অভিযোগ উঠলে রোববার উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তল্লাশি চালিয়ে জাহাঙ্গীর মিয়ার ঘরে রাখা চাল সমুহ জব্দ করে। সোমবার উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি মো. মাসুদুর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিজে উপস্থিত থেকে বানভাসিদের মাঝে চাল বিতরণ করেন।
চেয়ারম্যানের দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারনে চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। সে কারনে চাল বিতরনে বিলম্ব হয়েছে। তাছাড়া তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারনে চিকিৎসার জন্য বাইরে থাকায় চাল বিতরণ বন্ধ ছিল। প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত না করাটা তার ভুল হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, দেরিতে হলেও বানভাসিদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান কেন চাল বিতরণ না করে এবং প্রশাসনকে না জানিয়ে গোডাউনে রাখলেন সে ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার জানান, তদন্ত কমিটি গঠন করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।