ফুলবাড়ী প্রতিনিধি ►
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর এলাকাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজারে শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়লেও দাম এখনো বেশি চড়া। আবার পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি মাছের।
সোমবার ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারি ও খুচরা সবজি বাজারসহ উপজেলার কয়েকটি হাটবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা। চালের দাম গত সপ্তাহের মতোই কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তি। কেজিতে ১২ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
উপজেলার অধিকাংশ হাটবাজারেই শীতকালীন শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, মুলা, গাজর, টমেটো, শিমসহ পছন্দের শাক-সবজির সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তিতে নেই ভোক্তারা। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, হাটবাজারে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজির সরবরাহ থাকলেও পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে এসব শাক-সবজি কিনতে হচ্ছে তাদেরকে। দু-এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কিছুটা কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।
পৌর বাজারে সবজি কিনতে আসা চকচকা গ্রামের ছাপাখানা ব্যবসায়ি আখতারুল সরকার বলেন, বাজারে প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন শাক-সবজি উঠলেও দাম বাড়তির দিকেই। এ কারণে চাহিদানুযায়ী শীতকালীন শাক-সবজিও কিনে খাওয়া যাচ্ছে না। এখনও প্রতিকেজি সবজি ৫০ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে কিনতে হচ্ছে।
পৌর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা সুব্রত সরকার বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে কাঁচা সবজি বেশি পাচ্ছেন। তবে পাইকারি বাজারে দাম খুব কমেনি। গত বছর যে দামে কিনেছেন, তার চেয়ে এবার তুলনামূলক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের কাছেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে দেশি পাটনাই আলু প্রতিকেজি ৩২-৩৫ টাকা, বিলাতি আলু প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা, গাঁজর ১২০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, ফুলকপি ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, টমেটো ১১০-১১৫ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, শিম ৭৫-৮০ টাকা, আদা ১২৫ টাকা, রসুন ৭৫-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০-৪২ টাকা, প্রকার ভেদে পালন শাক, লাল শাকসহ অন্যান্য শাক প্রতি আটি ২০-২৫ টাকা।
পৌরবাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা অজয় দত্ত বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শাক-সবজি দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকারা মাঠ থেকেই চড়াদামে কিনে নেওয়ার জন্য স্থানীয় বাজারেও দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলায় চালের দাম ওঠানামা করছে। নতুন চাল বাজারে উঠলেই কেবল এ অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়িরা। মাছ-মাংসের ক্ষেত্রেও বাড়তি দাম গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদেরকে। এজন্য বাজার তদারিক বাড়ানোর দাবি ক্রেতা সাধারণের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাজার মনিটরিং কাজ প্রতিনিয়ত চলছে। নজরদারি রয়েছে প্রতিটি বাজার ও পণ্যের ওপর। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ যাতে দাম বাড়িয়ে পণ্য বিক্রি করতে না পারেন সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে প্রশাসনের।