ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি►
দীর্ঘ ২৯ বছর পর বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অত্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
স্থানীয় গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আজ শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯ থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষকদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। যা চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
প্রার্থীদের রংবেরং এর পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে স্থানীয় গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর। ভোটগ্রহণ চলাকালে সকাল ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্র পরিবর্দশন করেন ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদদাতা সহকারী অধ্যাপক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, সাধারণ সম্পাদক আমাদের সময় প্রতিনিধি ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স ও সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি প্লাবন শুভ এবং দুপুর ১২টায় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন। উৎসবমূখর পরিবেশের ভোটকেন্দ্রে পরির্দশন করে তারা সার্বিকভাবে সন্তোষ প্রকাশসহ শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করবেন এমন নেতৃত্ব শিক্ষক সমাজ নির্বাচিত করুই এই প্রত্যাশা করেন তারা।
নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার পার্বতীপুরের রোস্তমনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে ৩৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৩৪ জন ভোটার শিক্ষক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
নির্বাচন কমিশনের সদস্য উপজেলার চকমথুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম আসাদুজ্জামান কনক ও সদস্য খয়েরবাড়ী মনোমোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধীমান চন্দ্র সাহা বলেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৯টি পদের মধ্যে নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই ৫টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং অন্য ১৪টি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় ইতোপূর্বেই নির্বাচিত হয়েছেন।
বর্তমান উপজেলা শিক্ষক সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য অম্রবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর পর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সর্বস্তরের শিক্ষকরা উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য নিয়ে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা করেন।